কৌশিক গাঁতাইত, কুলটি: গরম শুরু, সঙ্গে প্রতি বছরের মতো এবারও জলসঙ্কটেরও শুরু। প্রতিবারের মতো এবারও জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) আসানসোলের (Asansol) কুলটি, হীরাপুর, জামুড়িয়া-সহ বেশ কিছু এলাকায়। এই সময় জলকষ্ট এখানকার মানুষের কাছে নতুন নয়। তবে এবার পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। আগামী ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (Lok Sabha by election)। তার আগে দুর্গাপুর, কলকাতা, নিউ ব্যারাকপুর, বরানগর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ট্যাঙ্ক এনে পাড়ায় পাড়ায় জল সরবরাহ করছে তৃণমূল পরিচালিত আসানসোল পুরসভা। যা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


তৃণমূলকে আক্রমণ বিরোধীদের


ভোটের মুখে রাজনীতি করছে তৃণমূল, এই অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের অভিযোগ, ‘ভোট কিনতে এসব করছে তৃণমূল। ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা।’


কংগ্রেস প্রার্থী প্রসেনজিত্‍ পুইতণ্ডির কটাক্ষ, ‘ব্যর্থতা ঢাকতে নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা।’


তৃণমূলের সমালোচনা করেও উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মানুষ জল পাক। ভোটের রাজনীতি চাই না। তিনি বলেছেন, ‘অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। মানুষ জল পাক। আমি ভোটের রাজনীতি করতে চাই না।’ 


যদিও, আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, অযথা রাজনীতি করছে বিরোধীরা। তিনি বলেছেন, ‘কয়েক জায়গায় মোটর খারাপ হয়েছিল। আমরা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। বিরোধীরা বিরোধীদের মতো কথা বলছে।’


রাজনৈতিক তরজা চললেও পুরসভার উদ্যোগে খুশি বাসিন্দারা। তবে ভোটের মুখে তাঁদের প্রশ্ন একটাই, জলসঙ্কট থেকে স্থায়ী সমাধান মিলবে কবে? 


চন্দ্রকোণাতেও জলসঙ্কট


অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা পুরসভাতেও পাঁচটি ওয়ার্ডে দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। কোথাও দূর থেকে আনতে হচ্ছে জল, আবার কোথাও পুরসভার কলের জল ঘোলা। কোনও কল থেকে একটু জল পড়লেই জমে যাচ্ছে ভিড়। চন্দ্রকোণা পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১, ২, ৫, ৬, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। 


কেন এই অবস্থা? পুরসভার চেয়ারপার্সনের দাবি, বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাইপ লাইনের কাজ চলছে। তাই হয়তো কোথাও অসুবিধা হচ্ছে।