কলকাতা: তিনি অভিনেতা হতে চাননি। ক্রিকেট খেলতেন, ড্রাম বাজাতেন। ভেবেছিলেন, বাইশ গজই হবে তাঁর কেরিয়ার। কিন্তু তাঁর কপালে লেখা ছিল রুপোলি পর্দায় জ্বলে ওঠা। তাই হল। আর যখন থেকে অভিনয়ে পা দিয়েছিলেন, একটা চরিত্রে অভিনয় করার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। ময়ূরবাহন। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস 'ঝিন্দের বন্দি'-র খলনায়ক ময়ূরবাহন। যে চরিত্রে অভিনয় করে একটা সময়ে হাজার হাজার মানুষের মন জয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রমাণ করে দিয়েছিলেন, খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেও অনায়াসে জায়গা করে নেওয়া যায় রমণী হৃদয়ে। সেই চরিত্রে পর্দায় নিজেকে দেখার স্বপ্ন ছিল যীশু সেনগুপ্তের (Jissu Sengupta)। 


আরও পড়ুন: 'আমার সঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের তুলনাই করা উচিত নয়'


 


ময়ূরবাহন স্বপ্নের চরিত্র


পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) পরিচালিত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) বায়োপিক 'অভিযান'। সেই ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বয়সকালের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি নিজে। আর অল্প বয়সের সৌমিত্র হয়েছেন যীশু সেনগুপ্ত। ছবি জুড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবির বিভিন্ন দৃশ্য। তপন সিংহ পরিচালিত 'ঝিন্দের বন্দি' ছবিতে কিংবদন্তি সেই ময়ূরবাহনের রুপেও দেখা গিয়েছে যীশুকে। আর সেই চরিত্রই নাকি যীশুর স্বপ্নের। এবিপি লাইভকে যীশু বললেন, 'কখনও ভাবিনি অভিনেতা হব। কিন্তু যখন থেকে অভিনয়ে এসেছি, ওই একটা চরিত্রের ওপরেই আমার লোভ। ময়ূরবাহন। আমি ছোট থেকে অনেকবার 'ঝিন্দের বন্দি' দেখেছি। আর যতবার দেখেছি, ততবারই ইচ্ছা হয়েছে পর্দায় নিজেকে ময়ূরবাহন হিসেবে দেখার।'


কেন? নেতিবাচক চরিত্র বলে? যীশু বললেন, 'ঠিক তা নয়, আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই গ্রে শেড থাকে। কেউ সাদা কালো হতে পারে না। আমার গ্রে শেডের চরিত্রে অভিনয় করার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ময়ূরবাহন চরিত্রের মধ্যে একটা ব্যাপার আছে। ওই ছবিতে উত্তমকুমারও (Uttam Kumar) ছিলেন। ওনার ডাবল রোল ছিল। রাজপুত্র হয়েছিলেন উনি। আমার মতে ওই একটা ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় উত্তমকুমারকে গোল দিয়েছিলেন।'