মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: প্রবল বৃষ্টিতে ধস নামল দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার সামনের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। শুরু হল যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ। ব্যাপক আতঙ্ক এলাকায়। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানা এবং ইসিএলর আধিকারিকরা।
'কী কারণে এই ধস..' ?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আশপাশে একাধিক কোলিয়ারি রয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে ভূগর্ভের মাটি নরম হয়ে এই বিপত্তি। ইসিএল র আধিকারিক বলেন,'এর নিচে কয়লা উত্তোলন হয়নি। কী কারণে এই ধস আমরা বুঝতে পারছি না। তবুও ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ চলছে।' কিছু আগেই টানা বৃষ্টি ও জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা, গোসাবায় বাঁধে ধস নেমেছিল। যদিও এবার ফের নিম্নচাপ ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গতকাল থেকে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে জেলা জুড়ে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝোড়ো বাতাস। রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে। সঙ্গে বাতাসের দাপটও বাড়ে।জানা গিয়েছে, সুন্দরবন উপকূলে ঝড়ের দাপট ছিল ঘন্টা ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। ঝড়ের জেরে কাকদ্বীপ মহকুমার নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমায় একাধিক কাঁচাবাড়ি, গাছ, পানের বরজ ভেঙে পড়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নিচু এলাকাগুলি। নামখানা এলাকায় বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকেছে।
দুর্যোগের ঘনঘটা
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,শরতের আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। কলকাতা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে গভীর নিম্নচাপ। দক্ষিণবঙ্গে পুজোর মুখে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। আজ ও কাল দক্ষিণবঙ্গজুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান-সহ ১৫টি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও কাল থেকেই শুরু হয়েছে দুর্যোগ। গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের পটুয়াখালি দিয়ে স্থলভাগে ঢুকে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সেটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে যাবে। অন্যদিকে, পাঞ্জাব থেকে বাংলার ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমী অক্ষরেখা। ঝোড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টির জেরে সমুদ্র উত্তাল থাকায়, আগামীকাল পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেও আজ ও কাল বৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন, এটা আমার শেষ চেষ্টা : মুখ্যমন্ত্রী
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।