মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান: ভরা বর্ষা। কোথাও জল রয়েছে। তার মধ্যেই রয়েছে তার বেরিয়ে থাকা ল্যাম্পপোস্ট। কোথাও আবার, বৃষ্টিতে ভিজে সপসপে হয়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার। তার গা ঘেঁষেই চলছেন পথচারীরা। এমনই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুর (Durgapur) শহরের নানা জায়গায়। 


এখনও পর্যন্ত রাজ্যে খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা ও হাওড়ায় পরপর এই ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও হুঁশ ফেরেনি। রাজ্যের একাধিক শহরে এখনও এমন ঝুঁকি রয়েছে। যেমন দুর্গাপুর শহরের কেন্দ্র সিটি সেন্টার এলাকা। এখানেও একাধিক জায়গায় বিদ্যুতের তার বেরিয়ে রয়েছে। কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি (Electric Post) থেকে তার ঝুলছে। কোথাও বক্সের ঢাকনা খোলা। সেখান থেকে বেরিয়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার। শহরের ওই এলাকা যথেষ্ট ঘিঞ্জি। আশেপাশেই রয়েছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, রয়েছে প্রশাসনিক ভবনও। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের ওই এলাকায় রয়েছে বাসস্ট্যান্ড, শপিং মল, হোটেল-রেস্তরাঁর মতো এমন জায়গা যেখানে প্রতিদিনই নানা কারণে ভিড় করেন বাসিন্দারা। সেখানে বিদ্যুতের তারের এই পরিস্থিতি থাকায় যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ নাগরিকরা।  


বাসিন্দাদের প্রশ্ন:
স্থানীয় প্রশাসন কেন পদক্ষেপ করছে না সেই প্রশ্ন তুলছেন দুর্গাপুর শহরের বাসিন্দারা। এটি এমন একটি শহর, যেখানে পাশের জেলা, পড়শি রাজ্য থেকে অনেকেই প্রতিদিন নানা কাজের প্রয়োজনে আসেন। কলকাতা-হাওড়ায় একাধিক মর্মান্তিক ঘটনা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কিত। স্থানীয় বাসিন্দা রাজ শর্মা বলেন, 'এগুলো দ্রুত পুরসভা বা প্রশাসনের দেখা উচিৎ, প্রায় দিনই দুর্ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন জায়গায়।'   


প্রশাসনের আশ্বাস:
দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দুর্গাপুর পুর প্রশাসন। দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, 'কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ দফতরের কিছু জায়গায় পুরসভার এইরকম খুঁটি বা বক্স আছে, খুব শীঘ্রই একটি বৈঠক ডেকে এগুলো নিয়ে ব্যবস্থা করা হবে।'


আরও পড়ুন: Hooghly: সাংসদ কোথায়? কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূলের, পাল্টা কটাক্ষ লকেটের