মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: সকাল হোক বা সন্ধে। হাঁটতে বেরোলে বা বাজারে যেতে গেলেই পড়তে হচ্ছে ছিনতাইবাজদের খপ্পরে! নম্বরবিহীন বাইকে এসে দুষ্কৃতীরা ছিনিয়ে নিচ্ছে হার বা মোবাইল ফোন। অভিযোগ দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকায়। নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র পারিষদ। 


পরপর ছিনতাই:
৩ মাসে পরপর চারটি ছিনতাই! কখনও টান মেরে নিয়ে যাচ্ছে গলার হার। কখনও আবার দুষ্কৃতীদের নজরে মোবাইল ফোন। মর্নিং ওয়াক হোক বা ইভনিং ওয়াক, রাস্তায় বেরলেই দুষ্কৃতীদের সফট টার্গেট মহিলারা। এমনই অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকায়। 


কী অভিযোগ:
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, নম্বরবিহীন বাইকে চড়ে আচমকা চড়াও হচ্ছে হেলমেটে মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীরা। নিমেষের মধ্যে ছিনতাই করে চম্পট দিচ্ছে তারা। 
দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকার বাসিন্দা মঞ্জরী মণ্ডল বলেন, 'বাইকের পিছনের লোকটা বলছে ছিড়ে নে, ছিঁড়ে নে। আর তেমনি পট্ করে ছিঁড়ে নিল।  আমার সোনার হার।'
ওই এলাকারই আর এক বাসিন্দা অন্বেষা দত্ত বলেন, 'আমি আর আমার শাশুড়ি মা হাঁটছিলাম। উল্টো দিক থেকে বাইক এসে আমাকে থাপ্পড় মারল যাতে চমকে যাই। লকেট ছিঁড়ে নিয়ে চলে গেল। চোর ছিনতাইবাজরা দিনেদুপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মানুষ তো আতঙ্কে থাকবেই।' পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ বাসিন্দারা। নিরাপত্তা বাড়াতে ওই এলাকায় সিসিটিভি বসানোর দাবি জোরদার হচ্ছে।  এক বাসিন্দা বলেন, 'আমার মেয়ে সেদিন স্কুল থেকে আসছে। হার চুরি হয়ে গেল। এমন হার চুরি করল যে গলা কেটে কান কেটে একাকার। সিসিটিভি বসানো হোক।'


প্রশাসনের আশ্বাস:
এই পরিস্থিতিতে এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন গোপালমাঠের বাসিন্দা, দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'পুলিশকে বলেছি স্টেপ নিতে। পুলিশ স্টেপ নিয়েছে। বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এসে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা সজাগ আছি। কাজ না হলে পুলিশের আরও হায়ার অথরিটিকে বলব।'


দুষ্কৃতী তাণ্ডবের আতঙ্কে সকালে হাঁটতে বেরনো বন্ধ করে দিয়েছেন মহিলারা! তাঁদের দাবি, দ্রুত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করুক প্রশাসন। 



আরও পড়ুন: আত্মীয়দের সঙ্গে নদীতে স্নান, নাগরাকাটায় হড়পা বানে ভেসে গিয়ে মৃত্যু মা-মেয়ের