সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পাচারের আগেই উদ্ধার হল প্রায় সাড়ে পাঁচশো বিরল প্রজাতির কচ্ছপ (Tortoise)। ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের (Swarupnagar) চারঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণে কচ্ছপ (Rare Tortoise Rescued)। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দুই পাচারকারী।
কচ্ছপ উদ্ধার-
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,ভিনরাজ্য থেকে পাচার হয়ে আসা বিপুল পরিমাণে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ এদিন উদ্ধার হয় ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকা থেকে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার গ্রেফতার হয়েছে দুই পাচারকারী। খবর পাওয়া গিয়েছে, গোপনসূত্রে বন দফতরের কাছে খবর আসে যে ভিনরাজ্য থেকে পাচার হয়ে আসা বিপুল পরিমাণে কয়েক লক্ষ টাকার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য মজুত করা হচ্ছে। বন দফতরের কাছে খবর আসে যে, ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকায় মজুত করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ। খবর পেয়েই বারাসাত, বনগাঁ ও বসিরহাটের বন দফতরের আধিকারিকরা একসঙ্গে গোপন অভিযান চালায়। আজ ভোর চারটে নাগাদ তাঁরা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। গোপন অভিযানে উদ্ধার হয় বাইশ বস্তা কচ্ছপ, যার ওজন প্রায় এক টনের উপর। প্রায় পাঁচশোটি কচ্ছপ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দুই পাচারকারী। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত করছে বন দফতর।
আরও পড়ুন - North 24 Paraganas: পানিহাটিতে তোলা চাইতে গিয়ে বোমাবাজি, গ্রেফতার অভিযুক্ত জেল ফেরত দুষ্কৃতী-সহ ৪
প্রসঙ্গত, গত মাসেই মালদার গাজোলের এক মাংস বিক্রেতার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি কচ্ছপ। পাচারকারীকে ধরতে ক্রেতা সেজে অভিযান (Turtle Smuggling)। তাতেই সাফল্য পেল বন দফতর। মালদার (Malda News) গাজোলে কচ্ছপের মাংস বিক্রেতা এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা গেল পাঁচটি বড় আকারের এবং ১৪টি ছোট আকারের কচ্ছপ। এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে হাত ফস্কে পালিয়ে গিয়েছেন অন্য এক জন। ধৃত ব্যক্তি আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁকে জেলা বন দফতরে রাখা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কচ্ছপের মাংস বিক্রি রুখতে নামে বন দফতর। ডিএফও সিদ্ধার্থ বি জানিয়েছেন, গাজোলের নয়াপাড়া এলাকায় কচ্ছপ বিক্রি চলছে বলে জানতে পারেন তাঁরা। সেই মতো অভিযুক্তকে ধরতে ফাঁদ পাতা হয়। ওই ব্যক্তির কাছে কচ্ছপ রয়েছে, এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই ক্রেতা সেজে ওই বাড়িতে যান বন দফতর এর রেঞ্জ অফিসার সুদর্শন সরকার-সহ বনকর্মীরা। এর পর হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় অভিযুক্ত বিপুল বিশ্বাসকে।