মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: দুর্গাপুর শহরের রাস্তা তো আগে থেকেই দখল ছিল। এবার দুই নম্বর জাতীয় সড়কও বেআইনি দখলদারদের কবজায়। রাস্তার দু'পাশে ইচ্ছেমতো দাঁড়িয়ে থাকে পণ্যবাহী গাড়ি। জাতীয় সড়কের উড়ালপুলের নিচের রাস্তাও দখল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। দুর্গাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের মূল রাস্তা, কর্পোরেশনের চার মাথার মোড় থেকে শুরু করে এ.ডি.ডি.এ মার্কেট মোড়ের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পুরোটাই দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। রয়েছে আরও সমস্যা। রাস্তার দু'পাশে গাড়ি রেখে বাজার করতে চলে যাচ্ছেন অনেকে। রাস্তার দুপাশে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় বাড়ছে যানজটও। পুলিশি টহল রয়েছে। বেআইনি পার্কিং রুখতে কাজ চললেও ফল হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আর তার ফাঁকেই নিয়ম ভাঙাটাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। 


বেআইনি পার্কিংয়ের জেরে বাড়ছে দুর্ঘটনাও। দুর্গাপুর শহর জুড়ে এমন পার্কিং বিপদফাঁদ হয়ে যায় অন্ধকার নামলেই। আলোর অভাবে কোনওভাবে নজর এড়ালেই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। দুর্গাপুরে পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকার জন্য বেশ কিছু জায়গায় ট্রাক টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছিল দুর্গাপুর নগর নিগমের উদ্যোগে। বামেদের সময়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক প্রকল্পে এই কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলি কাজে লাগে না বলে অভিযোগ। পার্কিং জোনের টাকা বাঁচাতে পণ্যবাহী গাড়িগুলি পার্কিং জোন এড়িয়ে রাস্তার দু'ধারে দাঁড়িয়ে থাকে বলে অভিযোগ। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে ভিন রাজ্য থেকে আসা গাড়িগুলিও।


আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এসিপি তুহিন চৌধুরীর আশ্বাস, সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছে পুলিশ। পরিস্থিতি বদলাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে বলে জানান দুর্গাপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মৃগেন পাল। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, 'দুর্গাপুর পুরসভার ব্যর্থতা এবং পুলিশের গাফিলতি সব মিলিয়েই গোটা পরিস্থিতি এখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।'  প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই এই সমস্যা বলে দাবি জেলা সিপিআইএম নেতৃত্বেরও। 


আরও পড়ুন: চুরির অভিযোগে কলকাতা বইমেলা থেকে গ্রেফতার অভিনেত্রী, তদন্তে পুলিশ