কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোল পুরসভার বরো চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলেই 'দ্বন্দ্ব'-এর ছবি। ২ নম্বর বরো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ সরব হয়েছেন। নির্বাচনে পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভোট 'বয়কট' ৪ তৃণমূল কাউন্সিলরের। আলোচনা না করেই নাম ঘোষণা, ভোটের পদ্ধতিও সঠিক নয়, দাবি ৪ বিক্ষুব্ধদের। 


৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান ঘিরেও ১ তৃণমূল কাউন্সিলর প্রশ্ন তুলেছেন। ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ, 'রাজনীতিতে অভিজ্ঞতার কোনও মূল্য নেই, কার মাথায় কার হাত সেটাই বড়।' দলের সিদ্ধান্তই ঘোষণা, অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে দাবি আসানসোল মেয়রের।


কেন সমস্যা:
বরো চেয়ারম্যান নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা । দলীয় প্রার্থীকে মানতে না পেরে ভোট বয়কট করলেন রানিগঞ্জের চার কাউন্সিলর। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আসানসোল পুরসভা দখলের এক বছর পর আজ দশটি বরোর চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন করা হয়। নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২ নম্বর বরো চেয়ারম্যানকে যোগ্য প্রার্থী বলে মানতে চাননি চার কাউন্সিলর। তাঁরা ভোট বয়কট করে বেরিয়ে আসেন । তাঁদের অভিযোগ, আলোচনা না করেই ২ নম্বর বরো চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণ করা হয়েছে। এছাড়া যে পদ্ধতি তে ভোট নেওয়া হচ্ছে সেটাও ঠিক নয়। তাই তাঁরা ভোট বয়কট করলেন। যদিও বিদ্রোহীদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'দলীয় সিদ্ধান্তের কারণেই ঐ প্রার্থীকে বরো চেয়ারম্যান করা হয়েছে ।'


যদিও এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি বলেন, 'একবছর পর কয়েকজন অযোগ্য কাউন্সিলরকে বরো চেয়ারম্যান করা হল। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলেরই কয়েকজন কাউন্সিলর। অন্য দিকে চার নম্বর বরো চেয়ারম্যানপদে রাজেশ তিওয়ারিকেও মানতে পারেননি তৃণমূলের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রণবীর সিং ব্রার। তিনি বলেন, ' রাজনীতিতে অভিজ্ঞতার কোন দাম নেই , কার মাথায় বড়ো দাদার হাত আছে সেটাই প্রধান।'


আরও পড়ুন: 'আন্দোলন করায় চাকরি হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়' মানল স্কুল সার্ভিস কমিশন