কলকাতা: 'আন্দোলন করায় চাকরি হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়'। নিয়ম মেনে চাকরি নয়, হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মানল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। ক্ষমতা প্রয়োগ করে চাকরি বাতিলের সুপারিশ করতে নির্দেশ হাইকোর্টের। শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের সুপারিশ করতে এসএসসিকে নির্দেশ হাইকোর্টের। মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকলেও চাকরি না হওয়ার অভিযোগ। '৩৩ নম্বরে নাম থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ৫৩ নম্বরে থাকার চাকরি?' নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা। ১৫ মার্চ ফের হাইকোর্টে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। ১৪ জানুয়ারি, ২০২০: শিক্ষিকাকে সুপারিশপত্র দিয়েছিল এসএসসি। শিক্ষিকাকে ২০ মার্চ নিয়োগপত্র দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। 


SSC'র চাকরি কি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের পৈতৃক সম্পত্তি? কীভাবে বেছে বেছে চাকরির সুপারিশ হয়? জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে কার্যত এই ভাষায় ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার, আদালতে দাঁড়িয়ে নিজের নিয়োগে বেনিয়মের কথা স্বীকার করে নেন এক শিক্ষিকা স্বয়ং। আন্দোলন করাতেই মিলেছিল চাকরি। চাকরি দিয়েছিলেন তৎককালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। আদালতে দাঁড়িয়ে এই কথা মেনে নেন সরমা ঘোষ নামে ওই শিক্ষিকা নিজেই।

ঠিক কী অভিযোগ?


আন্দোলন করলেই শিক্ষক। নবম দশমে শিক্ষক নিয়োগে, মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে আগে নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হয়নি। এমনই অভিযোগ তুলে, সম্প্রতি, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রিয়ঙ্কা দত্ত সমাদ্দার নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, তালিকায় ৩৩ নম্বরে তাঁর নাম ছিল। কিন্তু তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে তালিকায় ৫৩ নম্বরে থাকা সরমা ঘোষকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনে যে চাকরি দেওয়া হয়নি, হাইকোর্টে সেকথা স্বীকার করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশনও।

সূত্রের খবর, ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সরমাকে সুপারিশপত্র দিয়েছিল এসএসসি। ওই বছর ২০ মার্চ তাঁকে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মামলকারীর দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন এবং অবস্থান-বিক্ষোভে সামনের সারিতে ছিলেন সরমা। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে ডেকে কথা বলেছিলেন। সেখানে ছিলেন সরমাও। তারপরই তিনি চাকরির সুপারিশপত্র পান। এরপরই সরমাকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে এ সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেন শিক্ষিকা।

এরপর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন, কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে শিক্ষিকার চাকরির সুপারিশ বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি, এমন ঘটনা আরও রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখতে বলেছেন তিনি। রেগে নিয়ে বিচারপতি বসু এও বলেন SSC'র চাকরি কি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের পৈতৃক সম্পত্তি? কীভাবে বেছে বেছে চাকরির সুপারিশ হয়?আগামী ১৫ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।


আরও পড়ুন: Kolkata News: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বদল