কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে (Kazi Nazrul University) ধুন্ধুমার। পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে লাঠিচার্জের অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। প্রথমে লাঠিচার্জের (Lathicharge) অভিযোগ করলেও পরে উল্টো সুর অভিযোগকারী ছাত্রের।


কী অভিযোগ:
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি ঘিরে, শুক্রবার রাত থেকেই পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধুন্ধুমার বাধে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুযাদের একাংশ। দুর্গাপুরের একটি কলেজের এক পড়ুয়া আত্মহত্যার হুমকিও দেন। যত সময় গড়ায় ততই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেই সময় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক ও কর্মীরা অভিযোগ করেন, তাঁদেরকে ঘরে আটকে রেখে জল-আলোর সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করেছে। যদিও ওই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা এবিপি আনন্দ যাচাই করেনি। এরইমধ্যে, পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চালানোর অভিযোগ তোলেন কয়েকজন পড়ুয়া। প্রতিবাদে, শনিবার থেকে অনশন-আন্দোলনে বসেন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বিক্রম দে বলেন, 'গতকাল রাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। আমরা আমাদের দাবিতে অনড়। উপাচার্যকে এসে কথা বলতে হবে। আরও এক পড়ুয়ার অভিযোগ, 'আমাদের বলেছিল শান্তভাবে বিক্ষোভ করতে। পাশে থাকবে। কিন্তু রাতে আলো অফ করে মারা হয়। তার প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি।' যদিও লাঠিচার্জের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।


অভিযোগ, তারপরে উল্টো সুর:
আন্দোলনরত ছাত্র বিপুল বর্ধন শুক্রবার অভিযোগ করেন, 'পুলিশ এসেছে, এসে মেরে হাত ফাটিয়ে দিয়েছে। মারতে মারতে সমস্ত স্টুডেন্টদের বের করে দিয়েছে। প্রশাসন নিজেরাই লাইট অফ করে বলছে, লাইট কেন অফ করলি?' শনিবার সেই ছাত্রই আবার বলেন, 'ভিতরে পুলিশ আসে, আমরা বুঝতে পারি না, ভাবি যে, আমাদেরকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কিন্তু পরে দেখি, পুলিশের হাতে লাঠি ছিল না। ধাক্কাধাক্কি, ধস্তাধস্তিতে আমি পড়ে যাই। আমার হাতটা ফেটে যায়। আমি ভাবি যে, লাঠিচার্জ ও মারের কারণে আমার হাত ফেটে যায়।'


আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে টিএমসিপি। সংগঠনের কুলটি ব্লকের সভাপতি সইফ খান বলেন, 'করোনা আবহে অনলাইন ক্লাস হয়েছে। তাই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনলাইন পরীক্ষার আবেদন করেন।' এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সুদীপ কুরি বলেন, 'অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারে। কিন্তু ঘরে বসে যেন না নেয়। আলাদা চেম্বার করে নিক। পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে নিন্দাও করা হয়। 


আরও পড়ুন: "ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই", কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ বাড়ির নতুন তালিকা ঘিরে বিতর্ক !