কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: বাম শ্রমিক সংগঠনের ধর্নামঞ্চ। সেখানেই দেখা গেল বিজেপি (BJP MLA) বিধায়ককে। এমনই ছবি দেখা গিয়েছে রানিগঞ্জে (Raniganj)। শ্রমিক অসন্তোষের কারণ দেখিয়ে ৩০ জানুয়ারি, রানিগঞ্জের বল্লভপুর পেপার মিলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝোলায় কর্তৃপক্ষ। তারই প্রতিবাদে শ্রমিকদের নিয়ে ধর্নায় বসে সিপিএমের (CITU) শ্রমিক সংগঠন। এদিন তাদের ধর্নামঞ্চে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Pal)। সেখান থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন দুই পক্ষই। 


রানিগঞ্জে সিটু-র ধর্নামঞ্চে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের সামিল হওয়াকে কী চোখে দেখছে সংগঠন? সিটু-র দাবি, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও শ্রমিক-স্বার্থে বিধায়ক হিসেবে ওঁকে স্বাগত। বাম-বিজেপি আঁতাত নিয়ে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল। 


পেপার মিল বন্ধ হওয়া নিয়ে যখন শ্রমমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে সিটু নেতৃত্ব। তোলাবাজির অভিযোগে বিদ্ধ করছে রাজ্যের শাসক দলকে। তখন সেখানে দেখা গেল বিজেপি বিধায়ককে। শ্রমিক অসন্তোষের কারণ দেখিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি বল্লভপুর পেপার মিলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝোলায় কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁদের দু’মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আটমাস ধরে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও জমা পড়েনি। এর মধ্যে মিল বন্ধ হওয়ায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।


এরই প্রতিবাদে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে মিলের গেটে ধর্নায় বসেন শ্রমিকরা।  রবিবার সিপিএমের ধর্নামঞ্চে আসেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। পাশাপাশি বলে স্লোগান দিতেও দেখা যায়। 


সিটুর সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত প্রভাকর বলেন,'পেটে যখন আগুন লাগে তখন লাল সেলাম, ভারত মাতা কি জয় বা বন্দে মাতরম বেরোয় না। পেটে আগুন লাগলে আওয়াজ বেরোয় রোটি দো, রোজগার দো। এই লড়াই কোনও রাজনৈতিক লড়াই নয়। বিজেপির সঙ্গে আমাদের আদর্শগত লড়াই রয়েছে, সেটা আমরা লড়ব। উনি আমাদের বিধায়িকা। ওঁকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।'


আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, 'একজনও শাসকের তরফ থেকে এখানে এসে তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। তার মানে কি মালিকের সঙ্গে আঁতাঁত আছে? তাই জন্য এসে দাঁড়াচ্ছে না? তাছাড়া আর কী কারণ হতে পারে?তার মানে সেখানেও কী সিন্ডিকেট, কাটমানি? আমাকে এত টাকা দাও আমি চুপ করে যাব।' পাল্টা জবাব তৃণমূলও।


নোটিস ঝোলানোর পর থেকেই মালিক পক্ষের লোকজন বেপাত্তা। ঙ্গলবার শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে মিল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে। আপাতত তার দিকেই তাকিয়ে কর্মহীন শ্রমিকরা। 


আরও পড়ুন: পুকুর থেকে উদ্ধার পড়ুয়ার দেহ! নরেন্দ্রপুরে পুলিশের উপর আছড়ে পড়ল ক্ষোভ