আবির দত্ত, নরেন্দ্রপুর: ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার দেহ (Student Death) উদ্ধার ঘিরে রণক্ষেত্র নরেন্দ্রপুর (Narendrapur)। পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই পড়ুয়ার দেহ। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই পড়ুয়া। পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশ যথাযত পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। পরে নরেন্দ্রপুরের ঢালিপাড়ায় পুকুর থেকে উদ্ধার হয় দেহ। দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছতেই আছড়ে পড়ে জনরোষ।


মহামায়াতলার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুপ্রতীম দাস। পরিবার সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার বাড়ির পাশে একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফোন এলে বেরিয়ে যায় সুপ্রতীম। তারপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপরেই পরিবারের তরফে নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। 


রবিবার দুপুরে, বাড়ির কাছে ঢালিপাড়ায় একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় বারুইপুরের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই ছাত্রের দেহ।  এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছে মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। দেহ নিয়ে যেতে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়। স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে কোনওরকমে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায় পুলিশ। 


কী করে মৃত্যু হল এই পডুয়ার?পরিবারের মধ্যেই অবশ্য এ নিয়ে ধরা পড়েছে ভিন্ন সুর! কম্পিউটার না কিনে দেওয়ায় অভিমানী ছিল ছেলে, দাবি মৃতের মায়ের। তিনি বলেন, 'কম্পিউটার কিনে দিতে বলেছিল। দিতে পারিনি। খেতে খেতে রেগে উঠে চলে যায়।' ছাত্রকে খুনের অভিযোগ মৃত ছাত্রের মামার। নিহতের মামা বলেন, 'সকালে যখন পুলিশের কাছে গেলাম। তখন ওঁরা বলছেন এত বড় ছেলে দেখুন বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও গিয়েছে। দেখুন কোনও বান্ধবী রয়েছে কিনা, হয়তো দিঘা চলে গিয়েছে। ফিরে আসবে।' মামার দাবি, তাঁরা যখন জেনারেল ডায়েরি করতে চাইছিলেন। তখন পুলিশ নাকি বলেছে ২৪ ঘণ্টা না হলে জেনারেল ডায়েরি নেওয়া হয় না।' পাড়ার মহিলারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশের উপর আক্রমণ হয়নি। ক্ষোভের হাত থেকে পুলিশকে বাঁচানো হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। কীভাবে ওই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মৃত্য়ু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'পুলিশ যদি নিষ্ক্রিয় হতো তাহলে সমস্যার সমাধান হতো না। বাংলার পুলিশ-প্রশাসন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে। দু-একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা হয়, তা অনভিপ্রেত। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য বলছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির থেকে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা অনেক অনেক ভাল।'


আরও পড়ুন: 'দল থাকলেই রোজগার হবে', দলীয় কর্মীদের কেন হুঁশিয়ারি লাভলির?