মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ভিন রাজ্য থেকে গাঁজা আমদানি করা হচ্ছিল বস্তা বস্তা (Marijuana Smuggling)। পুলেশ প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে ব্যবস্থাপনাও ছিল অভিনব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত  গা বাচানো গেল না। বরং বস্তা বস্তা গাঁজা সমেত ধরা পড়লেন ছ'জন।  ওড়িশা থেকে ওই বস্তা বস্তা গাঁজা আনা হচ্ছিল স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (STF) আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ওই ছ'জন।


বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার


পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman News) দুর্গাপুরের শ্যামপুরের কাছে একটি ট্রাক থেকে নয় নয় করে মোট ২২ বস্তা গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।  সব মিলিয়ে ওঝজন হবে প্রায় ৩৫০ কেজি। এই বিপুল পরিমাণ গাঁজার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েক লক্ষ টাকা। ট্রাকের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে আনা হচ্ছিল। 


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার নম্বর প্লেট বসানো ট্রাকে চাপিয়ে পাচার করা হচ্ছিল ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা। গোপন সূত্রে সেই খবর এসে পৌঁছেছিল পুলিশের কাছে। সেই মতো ওতপেতে ছিলেন স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন শ্যামপুরের কাছে ট্রাকটিকে আটকান তাঁরা। 


আরও পড়ুন: Paresh Adhikari Teacher Recruitment Scam: সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ মন্ত্রী পরেশ অধিকারী


তবে ট্রাক আটকালেও, কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছিল আধিকারিকদের। কারণ ট্রাকে উঠেও গাঁজার নামগন্ধ পাননি তাঁরা। কারণ ধৃতরা অত্যন্ত কৌশলে বস্তাগুলি লুকিয়ে রেখেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  ট্রাকের পিছনে ডালা চাপা দেওয়া অবস্থায় দেখা যায় লোহার বিশেষ কিছু ব্লক। সুন্দর ভাবে ভাগ ভাগ করে সাজানো ছিল সেগুলি। আর ওই প্রত্যেক ব্লকে একটি করে সাদা বস্তা রাখা ছিল। উপর থেকে কাঠের পাটাতন দিয়ে ঢাকা ছিল সবকিছু। ফলে বোার উপায় ছিল না একেবারেই। 


এই ঘটনায়, শেখ বসির, আনন্দ, ঝন্টু, সঞ্জয়, কার্তিক এবং দেবজ্যোতি নামের ছ'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওড়িশার জলেশ্বর থেকে নবদ্বীপের উদ্দেশে তাঁরা ট্রাকভর্তি গাঁজা নিয়ে এগোচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।  ধৃতদের মধ্যে শেখ বসির পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা। বাকিদের সকলের বাস নবদ্বীপেও। পুলিশ জানিয়েছে, ওড়িশা থেকে বর্ধমান হয়ে নবদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গাঁজার বস্তাগুলি।


বড় কোনও চক্র কাজ করছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে


বুধবার সকালে অভিযুক্ত ছ'জনকে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা থেকে আসানসোল আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এর সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িয়ে কিনা খতিয়ে দেখছেন স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। কী উদ্দেশ্যে ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কোথায় বিক্রির ছক ছিল, লিঙ্কম্যানই বা কে, জানার চেষ্টা চলছে।