কৌশিক গাঁতাইত, জামুরিয়া, পশ্চিম বর্ধমান: পানাগড়ে ব্যবসায়ীকে বাস থেকে নামিয়ে অপহরণের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও একঘণ্টার মধ্যে অপহরণকারীদের ধরে ফেলে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় অপহৃত ব্যবসায়ীকে।


পুলিশ সূত্রে খবর, কাটোয়া থেকে পানাগড় আসছিলেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, পানাগড় বাস স্ট্যান্ডে নামা মাত্র তাঁকে জোর করে গাড়িতে তোলে চার দুষ্কৃতী। মারধরের পর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকাও কেড়ে নেওয়া হয় বলে ব্যবসায়ীর অভিযোগ। খবর পেয়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে জামুড়িয়া থেকে গাড়ি আটকে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। ব্যবসায়ীর দাবি, এর আগে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। ৪ অপহরণকারীকে আটক করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আর্থিক লেনদেনের কারণেই এই অপহরণ।  


ব্যবসায়ীকে পানাগড় বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। জামুড়িয়ায় গাড়ি আটকে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার ৪। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, জোর করে গাড়িতে তুলে মারধর করে ৪০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। যদিও, এক অভিযুক্তের মায়ের দাবি, ওই ব্যবসায়ীর কাছেই টাকা পেতেন তাঁর ছেলে। এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সাত সকালে কাঁকসা থানায় ফোন করে খবর দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তারপর আর দেরি করেনি পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন নাকা চেকিং পয়েন্টে গাড়িটির তথ্য পাঠানো হয়। ঘণ্টাখানেক পর পানাগড় থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে জামুড়িয়ার কাছে গাড়িটিকে ধরে ফেলে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। ধরা পড়ে যায় ৪ অভিযুক্ত। ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ এমনভাবেই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। কাটোয়ার বাসিন্দা সন্তোষ দে নামে ওই ব্যবসায়ীর দাবি, বাস থেকে নামতেই তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় কয়েকজন যুবক। তারপরেই সেই গাড়ি আসানসোলের দিকে রওনা দেয়।


অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ:
অভিযোগকারী ব্যবসায়ী সন্তোষ দে বলেন, 'বাস থেকে নামলাম। জোর গাড়িতে নিয়ে আসে। মারধর করে ৪০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।' স্থানীয়দের কাছ থেকে সেই খবর পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ। পরে ধরে ফেলা হয় গাড়িটি। অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ধৃত এক অভিযুক্তের পরিবার। অভিযুক্তের মা ফকিরা খাতুন বলেন, 'তিন লক্ষ টাকা পেত ব্যবসায়ীর কাছে। বারবার বলা সত্ত্বেও টাকা দিচ্ছিল না। অপহরণের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।'


ঘটনার নেপথ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। শুক্রবার ধৃতদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হবে। 


আরও পড়ুন: খাবার টেবিলে কী কথা কেষ্টর সঙ্গে! আরও তিন জনকে দিল্লিতে তলব ইডি-র