মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে সময়ে আসছেন না চিকিত্‍সকরা। এর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই অভিযোগ করেছেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের আউটডোরে দেখাতে আসা রোগীরা। হাসপাতালের সুপার মানছেন, চিকিত্‍সক সংকটের কারণেই এই সমস্যা। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের।


পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে সবথেকে বড় সরকারি চিকিত্‍সা প্রতিষ্ঠান দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। দুর্গাপুরের ৮টি থানা এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা এই হাসপাতাল। এছাড়া জেলার অন্যান্য জায়গা থেকেও রোগী আসেন এই হাসপাতালে।


আরও পড়ুন ; খরচ পড়ছে ৫০ লক্ষ টাকা, অক্সিজেন প্লান্ট বসছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপালে


হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিনই রোগীর উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু রোগী বা তাঁদের পরিবারের অভিযোগ, কিছুদিন ধরেই আউটডোরে কয়েকটি বিভাগে চিকিত্‍সকরা সময়ে আসেন না। এর ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় রোগীদের। হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, চিকিত্‍সকের সংখ্যা কম থাকায় আউটডোরে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। 


এদিকে দুর্গাপুরের সরকারি হাসপাতালের আউটডোরের সমস্যাকে হাতিয়ার করে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, সরকারি হাসপাতালে এরকম অবব্যস্থা। চিকিত্‍সার হাল এরকম। সরকারের সদিচ্ছার অভাব। কজন, ডাক্তার নার্স আছে, কেউ খবর রখে না।


যদিও দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার বলেন, কিছু ডাক্তারের সংকট হয়েছে। কিছু ডাক্তার দেওয়া হয়েছে। সমস্যাটা খতিয়ে দেখছি।


হাসপাতালের আউটডোরে এই সমস্যা কবে মেটে এখন তারই অপেক্ষায় রোগী ও তাদের পরিবার। 


প্রসঙ্গত, এ বছরের গোড়ার দিকে করোনা থাবা বসায় পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা হাসপাতালে। বেশ কয়েকজন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিত হন। যদিও সেই পরিস্থিতিতেও পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা হয় বলে দাবি করেন সুপার।