মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান) : দুর্গাপুরে (Durgapur) এফসিআই ()FCI গোডাউনে লরি মালিকদের ‘সিন্ডিকেট-দৌরাত্ম্য’। বিপাকে পড়লেন রেশন ডিলাররা (Ration Dealers)। রেশনের চাল-গম না নিয়েই ফিরলেন পূর্ব বর্ধমানে (Purba Burdwan)। রেশন ডিলারদের অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমান থেকে লরি নিয়ে গিয়েও রেশন না নিয়েই ফিরতে হয়েছে তাঁদের। রেশন ডিলারদের অভিযোগ 'অন্য জায়গার নয়, লরি লাগলে দুর্গাপুর থেকেই নিতে হবে। বাইরের কোনও লরিতে এফসিআই-এর চাল-গম তোলা যাবে না’। এমনই হুঁশিয়ারিও দেয় দুর্গাপুর লরি মালিক সমিতি। গোটা ঘটনা লিখিত আকারে পূর্ব বর্ধমান রেশন কন্ট্রোলার ও দুর্গাপুরের কোকোভেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পূর্ব বর্ধমানের রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশন।
চিন্তায় রেশন ডিলাররা, শুরু রাজনৈতিক তরজা
গোটা পরিস্থিতির মাঝে কাল থেকে রেশন সামগ্রী কীভাবে দেওয়া যাবে? চিন্তায় রেশন ডিলাররা। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। 'সবই তৃণমূলের কাটমানির জন্য হচ্ছে’, একযোগে কটাক্ষ করেছে বাম-বিজেপি (BJP)। কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানিয়েছেন দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার। তিনি জানান, যদিও এমনটা হয়ে থাকে তা ভুল হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। যার পরই সুর নরম করে দুর্গাপুরের লরি সংগঠনের মালিকরা (Lorry Owners)। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছোটখাট ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা হয়েছে। আলোচনা করে বিষয়টি ঠিক করে নেওয়া হবে, যাতে সোমবার থেকে ফের রেশনের সরবরাহের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়।
ঠিক কী ঘটেছে
প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ খাদ্য যোজনার অন্তর্গত গম লোড করে নিয়ে যেতে দুর্গাপুরে এফসিআই গোডাউনে গিয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের একাধিক রেশন ডিলারদের ৩২ টি লরি। পূর্ব বর্ধমানের রেশন ডিলারদের অভিযোগ, তাদেরকে দুর্গাপুর লরি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয় মাল লোড করতে গেলে তাঁদের থেকেই লরি ভাড়া করতে হবে। নাহলে মাল লোড করতে দেওয়া হবে না। পূর্ব বর্ধমানের রেশন ডিলাররা যা অস্বীকার করলে, পরিস্থিতি যার জেরে তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত রেশনের মাল না নিয়েই ফিরে যেতে হয় তাঁদের। যার পরই লিখিত আকারে অভিযোগ করেন তারা। যার পর শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন- আর্থিক সমস্যায় রুগ্ন দল, কোচবিহারে পার্টি অফিসের একাংশ পলিক্লিনিককে ভাড়া ফরওয়ার্ড ব্লকের