মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান) : দুর্গাপুরের (Durgapur) বেনাচিতিতে রাস্তা ঘেরাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা। আজ সকালে স্থানীয়দের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর। হাতাহাতি বেধে যায় তৃণমূল ও বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও। ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে দু’দল। ২ ঘণ্টা পর পুলিশের (Police) হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। 


ঠিক কী ঘটেছে


রাস্তা ঘেরা নিয়ে অশান্তি চলছেই দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে। সোমবার সকালে স্থানীয়দের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসীমা চক্রবর্তী। রাস্তার দখলদারি নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুলিশের সামনেই হাতাহাতিতে জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি।


প্রসঙ্গত, রাস্তায় পাঁচিল দেওয়া নিয়ে গন্ডগোল, জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য রাস্তায় পাঁচিল দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। একে অপরের বিরুদ্ধে তৃণমূল ও বিজেপির অভিযোগ। যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের জমিতেই পাঁচিল দেওয়া হচ্ছে।


রাজনৈতিক তরজা


বিক্ষোভের মুখে পড়া  দুর্গাপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসীমা চক্রবর্তী বলেছেন, 'তৃণমূলের ছেলেরা ছিল না, বিজেপির ছেলেরা ছিল, ওরাই হেনস্থা করেছে।' পাল্টা পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেছেন, 'ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়, লোকাল কাউন্সিলরকে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে, লোকাল তৃণমূল নেতারা প্রোমোটারদের সুবিধার্থে ওই জায়গা দখল করেছে, ওখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম।'


সকালে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকায় দুর্গাপুর থানার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের আধিকারিকরা।
অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে ২ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।


আরও পড়ুন- বাংলায় পেট্রোল-ডিজেলে কত ছাড় ? কী হিসেব দিলেন মমতা


এদিকে, ফের পৃথক জঙ্গলমহল (Jangal Mahal) রাজ্য চেয়ে সরব বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। অর্জুন সিংহ (Arjun Singh) বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) ফেরার পরের দিনই, নেতা কেনাবেচার অভিযোগ তুলে রাজ্য ভাগের পক্ষে সওয়াল করলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি। আর বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের যে দাবি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।