মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা। পুজোয় দেওয়া রাজ্য সরকারের অনুদান নিতে অস্বীকার করল আরও একটি পুজো কমিটি। এই মর্মে জেলা প্রশাসনকে চিঠিও দিল দুর্গাপুরের বিধাননগরের গ্রুপ হাউসিং পুজো কমিটি। কাদম্বিনী কাণ্ডের প্রতিবাদ, নির্যাতিতার বিচার মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজো অনুদানের টাকা নেবে না বলে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল দুর্গাপুর বিধাননগরের গ্রুপ হাউসিং পুজো কমিটি। ৪৫টি সমবায়ের সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য পরপর তিনবার মিটিং করে এই টাকা নিতে রাজি নয় বলে জেলাশাসককে গত ১৯ তারিখে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়। এবার পুজোয় সবরকম অনুষ্ঠান বাতিল ও পুজোতে কোনো জলসা বা অন্য কোনো আয়োজন থাকছে না, একটাই দাবি বিচার পাক নির্যাতিতা। এমনই বক্তব্য তাদের।


রাজ্য সরকারের অনুদানের টাকা না নেওয়ার ব্যাপারে মহিলাদের দাবিটা ছিল সবচেয়ে জোরাল। বিধাননগর গ্রুপ হাউসিং কমিটির কার্যকরী সভাপতি দুঃখহরণ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আগে নির্যাতিতা বিচার পাক। তারপর না হয় সব হবে।' একই দাবিতে সরব মহিলা থেকে শুরু করে কমিটির প্রবীণ সদস্যরা।


গত বছর ধরে দুর্গাপুরের বিধাননগরের গ্রুপ হাউসিং সমবায় সমিতির দুর্গাপুজো রাজ্য সরকারের পুজো অনুদানের টাকা পাচ্ছিল। এবার ছিল দ্বিতীয় বছর। গতকালই দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে ১৭৫টি পুজো কমিটিকে রাজ্য সরকারের পুজো অনুদানের টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। এর মধ্যে ৯টি পুজো কমিটির হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। 


বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব বর্ধমান সফরে। দুর্গাপুরে রাতে থাকার কথা তাঁর। ঠিক তার আগে দুর্গাপুরের এক সমবায় সমিতির দুর্গাপুজো কমিটি রাজ্য সরকারের অনুদানের টাকা নিতে অস্বীকার করে সেই লিখিত চিঠি পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসককে পাঠিয়ে দেওয়ায় এখন বিড়ম্বনায় প্রশাসন।


এদিকে আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এই প্রথম রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজো-অনুদান না নেওয়ার কথা ঘোষণা করল বীরভূমের ক্লাব। শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লি দক্ষিণ-পশ্চিম সর্বজনীন শারদোৎসব কমিটির পুজোর এবার ৩০ তম বর্ষ। জাঁকজমক করার কথা ভেবেছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। কিন্তু আরজি কর-কাণ্ডের আবহে প্রতিবাদে শামিল হয়ে এবার রাজ্য সরকারের দেওয়া ৮৫ হাজার টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। চাঁদা নিতে গেলে মহিলারা পুজো-অনুদানে আপত্তি জানাচ্ছেন। তাঁদের সম্মান জানাতেই ক্লাবের এই সিদ্ধান্ত।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।