মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্ডাল : অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বেরিয়ে নিখোঁজ ছিলেন যুবক। এরপর আজ পরিত্যক্ত জল-ভর্তি কয়লা খাদান থেকে দুই দিন পর তাঁর দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। তদন্তে অন্ডাল থানার পুলিশ।
শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ অন্ডালের ধান্ডাডিহি এলাকার পরিত্যক্ত খাদান থেকে উদ্ধার হয় দু'দিন ধরে নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ। মৃতদেহ উদ্ধারে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে। ওই যুবক ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন । নাম জিতেন্দ্র কুমার সিং( ৩৮ )।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছেন জিতেন্দ্রর মা। প্রথমে তাঁকে অণ্ডালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তারপর তাঁকে রানিগঞ্জের আরও একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় কয়েকদিন আগে। কয়েকদিন আগে তাঁর মাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি আনা হয়। এরপর থেকেই হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যান জিতেন্দ্র।
তাঁর ভাই সত্যেন্দ্র কুমার সিং জানান, গত দু'দিন ধরে তাঁর ভাই নিখোঁজ ছিলেন। আজই তিনি সেই নিখোঁজ ডায়েরি করার জন্য অন্ডাল থানায় আসেন। কিন্তু থানায় এসে পুলিশের কাছে জানতে পারেন, ধান্ডাডিহি এলাকা থেকে জিতেন্দ্রর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
তবে কীভাবে ধান্ডাডিহি এলাকার পরিত্যক্ত খাদানের কাছে জিতেন্দ্র গেলেন ? কেনইবা গিয়েছিলেন ? তাঁর মৃত্যুর পিছনে আর কী কারণ রয়েছে ?সমস্ত কিছুই পরিষ্কার হবে ময়নাতদন্তের পর। অন্ডাল থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
আগে নিখোঁজ কিশোরের দেহ উদ্ধার !
গত জানুয়ারি মাসে নদী থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ এক কিশোরের দেহ। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় বর্ধমানের রাজগঞ্জ পাসিখানা এলাকায়। ঘুড়ি ধরতে গিয়েই সে নদীতে তলিয়ে যায় বলে অনুমান করা হয়। মৃত কিশোর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মৃতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,রাজগঞ্জ চণ্ডীতলা এলাকার বাড়ি থেকে বের হয় রোহিত দাস। তারপর রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের তরফে বর্ধমান থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করা হলেও তার খোঁজ মেলেনি। এরপর পাসিখানা এলাকায় বাঁকা নদীতে একটি দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তাঁরা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া দেহটি রোহিত দাসের বলে শনাক্ত করে পরিবার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে