কলকাতা: ফিন-এজ নামের একটি প্রযুক্তি-কেন্দ্রিক ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশের ৩৯.৯ শতাংশ মহিলা তাঁদের ২০ বছর বয়স থেকেই বিনিয়োগ শুরু করেন, ৪১ শতাংশ মহিলা শুরু করেন ৪১ বছর বয়সে এবং তাঁদের মধ্যে ৭২ শতাংশ দীর্ঘ ৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে বিনিয়োগ জারি রাখেন। আজকের ভারতে দশজন মহিলার মধ্যে প্রায় ৪ জন মহিলাই দেশের একেকজন নতুন বিনিয়োগকারী যারা খুব ছোট বয়স থেকেই এসআইপির মাধ্যমে তাঁদের বিনিয়োগের জার্নি শুরু করেছেন। ভারতের অর্থনৈতিক মানচিত্রে এ যেন ধীরে ধীরে একটা যুগ বদল ঘটে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের (International Women's Day 2024) প্রেক্ষাপটে এই দৃশ্যপটের চেহারাটা ভাল করে বুঝে নেওয়া যাক।


সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মহিলারা বেশিরভাগই লক্ষ্যভিত্তিক এবং নিয়মনিষ্ঠ বিনিয়োগকারী হিসেবে উঠে আসছেন ক্রমশ, গড়ে ৪৪৮৩ টাকার একক এসআইপি করছেন তাঁরা। পুরুষেরা যেখানে গড়ে এককভাবে এসআইপিতে বিনিয়োগ করেন ৩৯৯২ টাকা। মাসে মাসে বেশিমাত্রার বিনিয়োগের অঙ্ক ছাড়াও, মহিলারা তাঁদের লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে অনেক বেশি টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন। লক্ষ্যনির্ভর এই এসআইপির বিনিয়োগের অঙ্কের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে যেখানে মহিলাদের বিনিয়োগ মাসে গড়ে ১৪৩৪৭ টাকা, সেখানে পুরুষদের মাসিক বিনিয়োগের অঙ্ক গড়ে ১৩৭০৪ টাকা।


এই সমীক্ষাকারী সংস্থার সিইও হর্ষ গহলৌত জানিয়েছেন যে, সমীক্ষা থেকে এটা যেমন দেখা যাচ্ছে যে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি অঙ্ক বিনিয়োগ করছেন এসআইপিতে, তেমনই একইসঙ্গে অনেক বেশি স্মার্ট বিনিয়োগও করছেন তাঁরা।


দেশের মহিলাদের মধ্যে ৩৯.৯ শতাংশ তাঁদের ২০ বছর বয়স থেকেই বিনিয়োগের জার্নি শুরু করে দেন, ৪১ শতাংশ মহিলা সেই বিনিয়োগ শুরু করেন ৩০ বছর বয়সে। ২০২৩ সালের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে, ফিনএজ সংস্থায় যে সমস্ত নতুন বিনিয়োগকারীরা যোগ দিয়েছেন তাঁদের ৪১ শতাংশই মহিলা। তাঁদের মাসিক আয়ের একটা বড় অংশ বিনিয়োগের মাধ্যমে তাঁরা যেমন তাঁদের ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতাকে নিশ্চিত করছে, তেমনই একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের দিকেও অনেকটা এগিয়ে থাকছেন তাঁরা।


অবসর এবং ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যে বিনিয়োগ দিনে দিনে বাড়ছে সেখানে দেশের মধ্যে মহিলাদের অংশগ্রহণ অনেকটাই বেশি বলে জানা গিয়েছে সমীক্ষায়। দেশের ৪৪ শতাংশ মহিলা তাঁদের অবসর নেওয়াকে মাথায় রেখে অবসর-পরবর্তী জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করছেন, আবার ৩৫ শতাংশ মহিলাদের কাছে সবার আগে প্রাধান্য পেয়েছে সন্তানের শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা।  


তথ্যসূত্র: আইএএনএস   


আরও পড়ুন: Dividend Stocks: বাড়তি আয়ের সুযোগ মিলেছে এই সব স্টকে, আপনার কেনা আছে ?