মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান) : কলেজের হস্টেলে অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রথম বর্ষের ছাত্রের। দুর্গাপুরের (Durgapur) বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বি বি এ-র প্রথম বর্ষের ছাত্রর অস্বাভাবিক মৃত্যু (Unnatural Death) ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃতের নাম রাজদীপ সরকার । সে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বাসিন্দা। ঘটনাটি নিয়ে পরিবারের তরফে নিউ টাউনশিপ থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


কী করে এই ঘটনা ?


রবিবার দুপুরে কলেজের হস্টেলে খাট থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারায় প্রথম বর্ষের পড়ুয়া রাজদীপ। তড়িঘড়ি অন্যান্য ছাত্ররা ওয়ার্ডেনকে খবর দেয়। দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় তার পরিবারের লোকদের। বর্ধমানের আউশগ্রাম থেকে পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে আসেন। এরপর স্থানীয় নিউ টাউনশিপ থানায় পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়।


তাদের দাবি , কলেজের একেকজন একেক রকম কথা বলছেন। এ মৃত্যুর উপযুক্ত তদন্ত চাই। কেন এই ঘটনা ঘটল ? গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আর্জি জানিয়েছে তার পরিবার। যদিও কলেজের তরফ থেকে বলা হয়েছে, খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজদীপকে। কলেজে কোনও গন্ডগোল বা কোনও রকম কোনও ঘটনা ঘটেনি।


বন্ধুকে পাথরখাদানে নিয়ে গিয়ে খুন!


প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে পাথরখাদানে বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে। দুর্গাপুরের পারুলিয়ার ড্যামপাড়ার ঘটনা। এই এলাকা থেকে হাত, পা, বাঁধা এবং গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। জানা যায়, বছর ২০-র ওই যুবকের নাম অনিল ভূঁইয়া। এর পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া যায়, অনিলের প্রিয় বন্ধু ছিল আকাশ ভুঁইয়া। বন্ধুত্বের গভীরতা এতটাই ছিল যে, অনিলের হাতে আকাশের নাম আর আকাশের হাতে অনিলের নাম লেখা ট্যাটুও করা ছিল। কিন্তু কী এমন ঘটে যার জেরে বন্ধুকে খুন করলেন অপর বন্ধু? 


ঠিক কী ঘটে? অনিল ভুঁইয়ার সঙ্গে একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। এদিকে সেই মেয়েটিকেই বিয়ে করতে চাইছিল আকাশ। আর এই নিয়ে নিয়েই অনিল ও আকাশের মধ্যে বিবাদ চলছিল। ভুল বুঝিয়ে অনিলকে নিয়ে যায় আকাশ। তারপরেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পারুলিয়ার পাথর খাদানের পাশে দু'জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই বচসা চরম পর্যায়ে পৌঁছতেই অনিলের হাত পা বেঁধে গলায় কালো কাপড় দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করে আকাশ ভুঁইয়া। এমনই অভিযোগ ওঠে।  তার পরেই অন্ডালের বহুলায় দিদির বাড়িতে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত বন্ধু। সেখান থেকেই আকাশ ভুঁইয়াকে গ্রেফতার দুর্গাপুর থানার পুলিশ।