নয়াদিল্লি: আফগানিস্তান দখলের পরেই স্বমূর্তিতে তালিবান। ভারত-আফগান বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করল তালিবান। ভারতের সঙ্গে সমস্ত আমদানি-রফতানি বন্ধের ফতোয়া জারি করল তারা। ‘পাকিস্তানের দিকে পণ্য পরিবহণে বাধা তালিবানের’, এমনই দাবি রফতানিকারক সংস্থাগুলির সংগঠনের।
গত রবিবার কাবুলে প্রবেশ করে আফগানিস্তান দখলের পর ভারতের সঙ্গে সমস্ত আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন (এফআইইও) –এর ডিরেক্টর জেনারেল ড. অজয় সহাই জানিয়েছেন, বর্তমানে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে সমস্ত ট্রানজিট রুটে পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। ফলে আমদানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সহাই বলেছেন, আমরা আফগানিস্তানের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছি। সেখান থেকে পণ্য আমদানি হয় পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট রুটে। তালিবান পাকিস্তানের দিকে পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছে।ফলে আমদানি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্যে। আফগানিস্তানে ভারতের লগ্নির পরিমাণও অনেক। সহাই বলেছেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যের অন্যতম বড় শরিক ভারত। আফগানিস্তানে ভারতের রফতানির পরিমাণ ২০২১-এ প্রায় ৮৩৫ মিলিয়ন ডলার।এই পর্বে আমদানির পরিমাণ প্রায় ৫১০ মিলিয়ন ডলার। বাণিজ্যের বাইরে ভারতের আফগানিস্তানে প্রচুর লগ্নি রয়েছে। এই লগ্নির পরিমাণ প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রায় ৪০০ প্রকল্পের কাজ সেদেশে চলছে।
সহাই জানিয়েছেন,কিছু পণ্য যে আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ ট্রান্সপোর্ট করিডর দিয়ে হয়, তা ঠিক রয়েছে। দুবাই রুট দিয়ে যে পণ্য পরিবহণ হয়, তাও ঠিক রয়েছে। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো। চিন, ওষুধ, জামাকাপড়, চা, কফি, মশলা, ট্রান্সমিশন টাওয়ারের মতো পণ্য ভারত আফগানিস্তানে রফতানি করে। আমদানি হয় মূলত শুকনো ফল। আফগানিস্তানে চলতি সংকটের পরও সেখানকার সঙ্গে বাণিজ্য়িক সম্পর্ক নিয়ে এফআইইও-র ডিজি আশাবাদী।
তিনি বলেছেন, সময়ের সঙ্গে আফগানিস্তান বুঝতে পারবে যে, এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় হল অর্থনৈতিক উন্নয়ন।