কলকাতা: তালিবানের কব্জায় আফগানিস্তান। সেখানে এখনও রাজ্যের প্রায় ২০০-র বেশি বাসিন্দা আটকে আছেন বলে খবর। তাঁদের নিরাপদে দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


মুখ্যমন্ত্রী  বলেছেন, কালিম্পং ও তরাই এলাকায় প্রায় ২০০ জন আফগানিস্তানে আটকে পড়েছেন। তাঁরা সেখানে কাজের সূত্রে গিয়েছিলেন। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে রাজ্যের আটকে পড়া বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার জন্য মুখ্যসচিব বিদেশমন্ত্রককে চিঠি লিখবেন। 


আফগানিস্তানে চলতি সংকটকে বড়সড় সমস্যা আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের প্রথমে সেখানে আটক ভারতীয়দের ফেরত আনার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। 


আফগানিস্তানের চলতি মানবিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অভিবাসন নীতির পর্যালোচনা করা উচিত কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয় ও বড়সড় নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিদেশমন্ত্রক আফগানিস্তানের সংকটজনক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। এখন এ ব্যাপারে তিনি তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। 


এরইমধ্যে জানা গিয়েছে, চাকরি পেয়ে বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে কাবুলে আটকে পড়েছেন স্বামী, কার্শিয়ংয়ে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর স্ত্রীর। বাবাকে নিরাপদে ঘরে ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন মেয়ে।হোয়াটসঅ্যাপ কলে স্বামীকে ধরার চেষ্টা করেই চলেছেন স্ত্রী। কিন্তু কিছুতেই কানেকশন হচ্ছে না। কাবুলে থাকা স্বামীর জন্য কার্শিয়ংয়ে উত্কণ্ঠায় রয়েছেন স্ত্রী। তালিবানের কব্জায় চলে যাওয়ার পরই আফগানিস্তান থেকে উঠে আসছে অসংখ্য ভয়ঙ্কর ছবি। তাতেই ঘুম উড়েছে গোটা পরিবারের।


কার্শিয়ংয়ের মন্টিভিয়েত চাবাগান এলাকার বাসিন্দা শেখর গুরুং। পরিবার সূত্রে খবর, ৯ বছর আগে ভারতীয় সেনা থেকে অবসর নেন তিনি। সম্প্রতি কাবুলের কোরিয়ার দূতাবাসে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি পান তিনি।  কর্মসূত্রে এক মাস আগে পাড়ি দেন সুদূর আফগান মুলুকে।


পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে ফোনে শেষ কথা হয়েছে শেখরের সঙ্গে।পরিবার সূত্রে খবর, শেখর জানিয়েছেন, কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে সাতজন মিলে একটি ঘর ভাড়া করে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়জনকে ঘরে ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে পরিবার।