সৌমেন চক্রবর্তী ও বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর : বেআইনি বালি খাদানের বিরুদ্ধে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipore) খড়গপুরে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান জেলা প্রশাসনের। কংসাবতী নদী থেকে বাজেয়াপ্ত ৯টি বালি তোলার যন্ত্র। বেআইনি বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে, জানালেন জেলাশাসক। পুলিশ-তৃণমূল আঁতাঁতেই বালি পাচার, বলে অভিযোগ বিজেপির। বালি পাচার রুখতে সক্রিয় প্রশাসন, দাবি তৃণমূলের।


রাতের অন্ধকারে অভিযান - অন্ধকারে নদীর বুক ফুঁড়ে ছুটছে স্পিড বোট। জোরাল আলো নিয়ে চলছে তল্লাশি। নদীর পাড় ঘেঁষে দেখা মিলল বালি তোলার যন্ত্রের। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে এভাবেই বেআইনি বালি খাদানে ম্যারাথন অভিযান চালাল জেলা প্রশাসন।


স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনের পর দিন কংসাবতী থেকে বেআইনিভাবে তোলা হচ্ছিল বালি। ট্রাকে করে অবাধে সেই বালি পাচার চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সোমবার রাত থেকে দফায় দফায় খড়গপুরের জিনশহর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। বালি মাফিয়ার নাগাল না মিললেও, কংসাবতী নদীর ধার থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বালি তোলার যন্ত্র। নদীর চরে পুঁতে রেখে নজর এড়ানোর চেষ্টা করা হলেও প্রশাসনের নজরদারিতে তা ধরা পড়ে যায়।


জারি থাকবে অভিযান - পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেছেন, 'এলাকাবাসীর তরফে অভিযোগ পেয়ে সোমবার রাত থেকে দফায় দফায় খড়গপুরের জিনশহর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। স্পিড বোট নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে কংসাবতী নদী থেকে ৫টি বালি তোলার যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অবৈধ বালি খাদান বন্ধের জন্য নির্দেশ আছে।' এই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় বালি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে খড়গপুর লোকাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের ভূমি রাজস্ব আধিকারিক।


রাজনৈতিক চাপানউতোর - এই ঘটনায় আবার শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির  সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, 'পুলিশ বালি গাড়ি থেকে টাকা তুলে সরকারকে দিচ্ছে। লোক দেখাতে এই রেড চলছে।' পাল্টা পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেছেন, 'অভিযোগ ভিত্তিহীন। সরকার বালি খাদানের বিরুদ্ধে বলেই প্রশাসন অভিযান চালাচ্ছে। '


প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে মালদার ভূতনির চরে বস্তায় বালির পরিবর্তে বস্তা ভরে চলছে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলার এক ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য। তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


আরও পড়ুন- এসএসকেএম হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাত? শুরু তদন্ত