অলোক সাঁতরা, মেদিনীপুর: পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত বাসের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এর জেরেই কেঁচো খুড়তে কেউটের হদিশ! অভিযানে নেমে দেখা গেল, অর্ধেকেরও বেশি বাসের চালকের কাছে নেই লাইসেন্স! ফলে স্ট্যান্ডে ফেরানো হল একাধিক বাসকে। পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাসের যাত্রীরা।


আজ মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী বাসগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। সেই মতো সকাল থেকে অভিযান শুরু করেন জেলা পুলিশ ও জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। খুঁটিয়ে দেখা হয় বাসগুলির স্বাস্থ্য। তবে প্রতিটি বাসের চালকদের  ড্রাইভিং লাইসেন্সের খোঁজ করতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের। দেখা যায়, অর্ধেকেরও বেশি বাসের চালকের কাছে নেই তাঁদের ড্রাইভিং লাইসেন্স। বেকায়দায় পড়ে স্ট্যান্ডে ফেরানো হয় বেশ কয়েকটি বাসকে। একইসঙ্গে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি বাসের স্বাস্থ্যের দেখভাল করা হচ্ছে না সঠিকভাবে। কোনও বাসে ওয়াইপার নেই, আবার কোনও বাসে ইন্ডিকেটর নেই। সেই বাসগুলিকেও স্ট্যান্ডে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আগামীদিনে এভাবেই অভিযান চলবে বলে জানানো হয়েছে আরটিও এবং পুলিশের পক্ষ থেকে।


আজ বেনিয়ম দেখে প্রশাসনিক আধিকারিকদের তরফে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় যাত্রীবাহী বাসের চালকদের। বেশ কয়েকটি বাসের নম্বর নথিভুক্ত করা হয় প্রশাসনের তরফে। পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে কড়া হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় বাসের চালকদের। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া যে কোনওভাবেই বাস চালানো যাবে না, সেটাও পরিষ্কার করে দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।


বাস চালানোর সময় কেন লাইসেন্স সঙ্গে রাখছেন না? এই প্রশ্নের অবশ্য সদুত্তর দিতে পারেননি বাস চালকরাও।


তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি  পার্থসারথী গণের দাবি, ‘সব গাড়ির চালককেই লাইসেন্স সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়েছে ইউনিয়নের তরফে। ভবিষ্যতে বাসের চালকরা তাঁদের লাইসেন্স যাতে সঙ্গে রাখেন, সে বিষয়টি মাথায় রাখা হবে।’


আজ পুলিশের এই অভিযানে যে ছবি সামনে এল, ভবিষ্যতে সেই ছবিটা বদলায় কি না, সেটাই দেখার।