সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের জঙ্গলমহলে হাতির হানা। রাতের বেলায় হাতির হানায় প্রাণ গেল এক যুবকের। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার ঘটনা। বাঁকুড়া থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকেছে এই হাতির পালটি।   


পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার কুরচিডাঙ্গা এলাকায় হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। বছর একত্রিশের নিহতের নাম রামচন্দ্র সরেন। পরিবারের দাবি, শনিবার রাতেই যে এলাকায় হাতির পাল ঢুকেছে যা বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।


তরজা: 
যদিও ব্লক সভাপতি তরফ থেকে জানানো হয়েছে বনদফতর এলাকায় প্রচার করলেও কিছু কিছু জায়গায় হয়তো সে ভাবে প্রচার পৌঁছয়নি। পুরো ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া পড়েছে। এই ঘটনায় শীঘ্র ক্ষতিপূরণের দাবি করেছে পরিবার। গোটা ঘটনার উপর নজরদারি চালাচ্ছে বনদফতর। হাতির পালটিকে ফের ঝাড় গ্রামের দিকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে বনদফতরের পক্ষ থেকে।


জানুয়ারি মাসেই গড়বেতায় হাতির তাণ্ডব হয়েছিল। গড়বেতা এক নম্বর ব্লকের খড়কাটা এলাকায় হাতির তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। রাত থেকে ওই এলাকায় ৩০ থেকে ৪০টি হাতি দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। হাতির হামলায় গবাদি পশুর মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায় দেড়শো বিঘা জমির ফসল নষ্ট করেছে হাতির পাল। জঙ্গলমহল এলাকায় প্রতি বছর শীতের মরসুমে হাতির হামলা হয়।       


কদিন আগেই বাঁকুড়ায় হাতির তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে। বাঁকুড়ার বেলবনি বিটের মাতলা গ্রামে ঢুকে বহু ফসল নষ্ট করে হাতির দল। বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া, বেলিয়াতোড়, বাঁকুড়া উত্তর ও সোনামুখী রেঞ্জের বিভিন্ন জঙ্গল মিলিয়ে ৬৮ থেকে ৭০ টি হাতি রয়েছে। সেখান থেকেই এদিক-ওদিক খাবারের সন্ধানে চলে যায় হাতির দল। মাসখানেক আগে জলপাইগুড়ির মেটেলিতে (Meteli) শ্রমিক আবাসনে হামলা চালায় একটি হাতি (Elephant)। শুধু তা-ই নয়, ঘরের দেওয়াল ভেঙে ঢুকে সাবাড় করল খাদ্যদ্রব্য। নষ্ট করে দেয় ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র। আতঙ্কে বাড়ির লোক পালিয়ে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন। ঘটনাটি ঘটেছিল মেটেলি ব্লকের চালসা চা বাগানের বাসা লাইনে। এর জেরে চা বাগানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে, বাঁকুড়া এবং ডুয়ার্সে একাধিক চা বাগানে বারবার হাতির হামলায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রাণও হারিয়েছেন কিছু ব্যক্তি। 


আরও পড়ুন:  'তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন গুড্ডু খানের', বিস্ফোরক খোদ মন্ত্রী