সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার নাজিরগঞ্জে যুব তৃণমূল নেতার বাড়িতে তাণ্ডব। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যুব তৃণমূল নেতা আরিফ খানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার নাম গুড্ডু খান। এবার তার নাম করে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়।
মন্ত্রীর অভিযোগ:
সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, 'বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন গুড্ডু খান। মমতা-অভিষেকের সঙ্গে দেখাও করেন গুড্ডু। রাজ্যের নেতৃত্বের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন গুড্ডু খান।' পাশাপাশি মন্ত্রীর দাবি, তৃণমূল গুড্ডুকে এখনও গ্রহণ করেনি। দোষ করলে গুড্ডুর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিক, মন্তব্য অরূপ রায়ের।
যুব তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের বেধড়ক মারধর অভিযোগ উঠেছে গুড্ডু খান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। হাওড়া পুরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন মেয়র পারিষদের স্বামী গুড্ডু খান। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন গুড্ডু। তখন থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন গুড্ডু, দাবি আরিফের ভাইয়ের। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গুড্ডুকে আটক করেছে পুলিশ। ২০২১-এ যুব তৃণমূল নেতা আরিফের বাবাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। নিহত ওয়াজুল খান তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা ছিলেন। ওয়াজুল খান খুনেও নাম জড়ায় গুড্ডু খানের।
সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্দি:
CCTV ক্যামেরায় ধরা পড়েছে গোটা ঘটনা। সময় তখন রাত ১১টা ০৩ মিনিট। দেখা গেল গলি দিয়ে দৌড়ে গেলেন এক যুবক। পিছনে জটলার মধ্যে মারধর শুরু হল এক যুবককে। নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে, কালো রঙের জ্যাকেট পরা ওই যুবক পড়ে গেলেন দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি মোটরবাইকের ওপর। শুরু হল উইকেট ও ব্যাট দিয়ে বেধড়ক মার। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এক যুবক তাঁকে টেনে তুললেন। ফের এলোপাথাড়ি বাড়ি পড়ল ব্যাটের। তারপর একটি বাড়ির দরজায় পড়ল ব্যাটের বাড়ি।
বিজেপির প্রতিক্রিয়া:
গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, গুড্ডু খান, বিজেপিতে যোগদান করেছিল, এটা ঠিকই। বিধানসভা নির্বাচনের সময় অন্য দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। তারপর থেকে বিজেপির সঙ্গে তার আর কোনও সম্পর্ক নেই। আবার ঘরের ছেলে, ঘরে ফিরে গিয়েছিল। সে তৃণমূলেই ছিল।'
আরও পড়ুন: বিষ্ণুপুরে ঐতিহ্যবাহী কালিন্দী বাঁধ ভরাটের অভিযোগ ! তদন্তে ভূমি দফতর