বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর): পদ থেকে অপসারণের পরেই বিস্ফোরক খড়গপুরের তৃণমূল নেতা। দলের বিরুদ্ধে উগরে দিলেন ক্ষোভ। ১ সেপ্টেম্বর, খড়গপুরে তৃণমূলের শহর সভাপতি পদ থেকে দীপেন্দু পালকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় সূর্যপ্রকাশ রাওকে। এরপরই অপসারিত তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেন, প্রকাশ্যে প্রোমোটারদের দলে আনা হবে না বললেও, তাদেরকেই পদে বসানো হচ্ছে। দল বলছে, এক ব্যক্তি, এক পদ। অথচ কার্যক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। ভোটের সময় যারা বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে তৃণমূলকে শেষ করার চেষ্টা করে, দল তাদেরই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন খড়গপুরের অপসারিত তৃণমূল নেতা। বিতর্ক এড়িয়ে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি, লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই দলীয় স্তরে রদবদল। এক চোরকে সরিয়ে আরেক চোর আনাই তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির।
পঞ্চায়েত প্রধানের ৩ কোটি টাকার বাড়ি: বাঁকুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ৩ কোটি টাকার বাড়ি। ৫ বছরে মানুষের নয়, উন্নয়ন হয়েছে শুধু প্রধানেরই! ফেসবুকে পোস্ট করে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ । বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতির। সম্মানহানির জন্য এসব বলা হচ্ছে। যে কোনও তদন্তে রাজি। মন্তব্য তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের।
কিছুদিন আগে নতুন তৃণমূলের সুর শোনা গেল দেগঙ্গার ব্লক তৃণমূল সভাপতির গলায়। তিনি বলেন, নতুন তৃণমূল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করে না। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো মানুষকেও দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতার মন্তব্যে কটাক্ষ ছুড়ে দেয় বিজেপি।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ED’র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! দলের আরেক হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলও এখন জেল হেফাজতে। বিরোধীরা দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে লাগাতার বিঁধছে। এই অবস্থায়, উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে দেখা মিলেছিল এই হোর্ডিং-এর!যাতে লেখা ‘নতুন তৃণমূল’। এবার নতুন তৃণমূলে সুর শোনা গেল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুর রহমানের গলায়।
শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রস্তুতি সভায় গিয়ে তিনি বলেন, নতুন তৃণমূল দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারির পরই দলীয় ও সরকারি সব পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরানো হয়েছে। দায়িত্ব কমেছে অনুব্রতরও। এই পরিস্থিতিতে, ব্লক সভাপতির নতুন তৃণমূল বার্তায় কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।
২০২৩-এ পঞ্চায়েত ভোট। ২০২৪-এ লোকসভার মহাযুদ্ধ। তার আগে ঐক্যবদ্ধ দলকে ময়দানে নামাতে তৎপর তৃণমূল নেতৃত্ব। এই প্রেক্ষিতে ‘নতুন তৃণমূল’ বার্তা অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।