খড়গপুর : মণিপুরকাণ্ডে (Manipur Violence) খড়গপুরে (Kharagpur) বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বাংলো ঘেরাও। জাকাত মাঝি পারগানা মহলের তরফে দিলীপ ঘোষের বাংলোর সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ চালানো হয়।
এক আন্দোলনকারী বলেন, 'গত কয়েকদিন ধরে সোশাল মিডিয়ায় মণিপুরের ঘটনায় যে নৃশংস ভিডিও দেখা যাচ্ছে, তা বলার মত নয়। আদিবাসী নারীদের যেভাবে নগ্ন অবস্থায় হাঁটানো হয়েছে, যেভাবে তাদের উপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে, একজনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। যিনি ধর্ষিতা তাঁর বাবা এবং ভাইকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এরকম জঘন্য ঘটনার পরেও, ওখানকার প্রশাসন, মণিপুরের বিজেপি-শাসিত রাজ্যে প্রশাসন এখনও পর্যন্ত দোষীদের শনাক্ত করে তাদের শাস্তিপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারেনি। এই ঘটনা গোটা দেশজুড়ে এক ধরনের নিন্দা-বার্তা। কয়েকদিন আগেই দেখা গেছে, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-শাসিত রাজ্যে এক আদিবাসী যুবকের মুখে এক বিজেপি নেতা প্রস্রাব করছেন। বারেবারে আদিবাসীদের উপর এই নারকীয় অত্যাচার, বারেবারে আদিবাসীদের হত্যা করা হচ্ছে, আদিবাসী নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, আদিবাসীদের যতরকমভাবে নিপীড়ন করা যায়, তার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। তারই প্রতিবাদ। আমরা সাংসদ দিলীপ ঘোষকে জানিয়েছিলাম, তাঁর বাসভবনে শান্তিপূর্ণ জমায়েত করব।'
প্রসঙ্গত, মাস তিনেক ধরে হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুর। সম্প্রতি সেখানে গণধর্ষণের পর দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও ঘিরে গোটা দেশ হয়েছে তোলপাড়। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে সে-রাজ্যের পুলিশ - প্রশাসন। ঘটনার আড়াই মাস পর গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। ভিডিও দেখেই শনাক্ত করা হয় তাকে। পুলিশের দাবি, চলতি বছরের ৪ মে মণিপুরের থৌবল জেলায় এই ঘটনা ঘটে। ভিডিয়োয় অভিযুক্তদের দেখা গেলেও, এতদিন কেন সক্রিয় হয়নি পুলিশ ? সারা দেশ জুড়ে এখন সবথেকে জোরালো এই প্রশ্নটাই। মণিপুরের ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চরম অসন্তোষপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সরকার ব্যবস্থা না নিলে, স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করা হবে বলে সেদিনই হুঁশিয়ারি দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরপর বাদল অধিবেশন শুরুর দিনে ওই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দোষীদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দেন।