সোমনাথ দাস, চন্দ্রকোনা: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোনায় (Chandrakona) পুরভোটের (Municipal Election) আগে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। অভিযোগ, চন্দ্রকোনা পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে পতাকা-ব্যানার টাঙানো এবং প্রচার করার সময় বিজেপি (BJP) কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জখম এক বিজেপি কর্মী।


চন্দ্রকোনা পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী সুদীপ কুশারীর হয়ে প্রচারে যান বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। তাঁরা ওই ওয়ার্ডে পতাকা-ব্যানার টাঙানো এবং দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছিলেন। বিজেপি-র অভিযোগ, তাঁরা পতাকা-ব্যানার টাঙাতে গেলে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী দলীয় পতাকা হাতে প্রচারে বাধা দেন। বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেন তৃণমূল কর্মীরা। রীতিমতো লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপি-র। তাদের দাবি, ১৪-১৫ জন বিজেপি কর্মী প্রচারে গিয়েছিলেন। তাঁদের সবাইকেই মারধর করা হয়েছে। একজন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হলে তাঁকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নেওয়া যাওয়া হয়।


আরও পড়ুন বিজেপি প্রার্থীর ব্যানারের মুখে তৃণমূলের স্টিকার! বড় অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের


ওই ওয়ার্ডের অন্য জায়গায় প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুদীপ কুশারী। দলীয় কর্মীদের উপর হামলার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁর সামনেই মারধর চলে বলে দাবি বিজেপি প্রার্থীর। ওই ওয়ার্ডে বিজেপির কোনও প্রচার করা চলবে না বলে তৃণমুলের তরফে হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানান বিজেপি প্রার্থী।


চন্দ্রকোনা পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেছেন, ‘বিজেপি-র পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই বিরোধী হিসাবেই তারা এই অভিযোগ করছে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, যে এই ওয়ার্ডে প্রার্থী সে নিজের এলাকায় মানুষকে সংগঠিত করে নির্বাচনে লড়াই করুক। বিজেপি এই ধরনের প্ররোচন দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাইরের ওয়ার্ড থেকে লোক নিয়ে এসে যদি ওরা এরকম করে, তাহলে মানুষ প্রতিরোধ করবে। তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপিও এই ঘটনা ঘটাতে পারে।’