অমিত জানা, দাঁতন : পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে (Datan) বকেয়া বাড়ি-ভাড়া না দেওয়ায় তালা বন্ধ বিএসএনএল অফিস (BSNL Office)। এর ফলে ৮ দিন ধরে পোস্ট অফিসে লিংক না থাকায় পুরোপুরি পরিষেবা বন্ধ। বিপাকে পড়েছেন বিএসএনএলের গ্রাহক থেকে পোস্ট অফিসের গ্রাহক।


২০০৪ সাল থেকে বকেয়া বিএসএনএল অফিসের বাড়ি ভাড়া ! আদালতের নির্দেশে তালা পড়েছে বিএসএনএল অফিসে। তার জেরে ৮ দিন ধরে পোস্ট অফিসে লিংক নেই, বন্ধ পরিষেবা। এমনই ছবি ধরা পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে।


আরও পড়ুন ; প্রতিদ্ব্ন্দ্বীদের চিন্তা বাড়াল BSNL-এর এই প্ল্যান, ১৫০ টাকার কমে চলবে ৩০ দিন


১৯৭৫ সালে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ বাড়িটি অফিসের জন্য ভাড়া নেন দাঁতনের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় দাসের কাছ থেকে। বাড়িটির বর্তমান মালিক তাঁর আত্মীয় অম্লান মাইতি। বাড়ির মালিকের অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে বিএসএনএল অফিসের কোনও ভাড়া না পাওয়ায় ২০১৫ সালে মেদিনীপুর আদালতের দারস্থ হন তিনি। 


আদালতের নির্দেশ-


২০১৯ সালে আদালত নির্দেশ দেয় তিন মাসের মধ্যে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষকে অফিস ছেড়ে দিতে হবে। এরপরও বকেয়া না মেটানোয় গত ৫ অগাস্ট আদালত অবমাননার অভিযোগে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।


এদিকে বিএসএনএল অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে ইন্টারনেট পরিষেবায়। ৮ দিন ধরে পোস্ট অফিসের পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ। দাঁতনের পোস্ট মাস্টার পিরু মুর্মু বলেন, লিঙ্ক না থাকার কারণে পাবলিককে পরিষেবা আমরা দিতে পারছি না। গ্রাহকদের হ্যারাসমেন্ট হচ্ছে। দিনে দিনে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিলাম যে অফিস কোর্ট থেকে এসে লক করে দিয়ে গেছে। ওটা ওনাদের বিষয়। মেইল থেকে শুরু করে পার্সেল ডেলিভারি হচ্ছে না।


দাঁতনের বাসিন্দা বিদ্যুৎ মণ্ডল বলছেন, আমরা চার দিন ধরে আসছি। কোনও কাজ হচ্ছে না। সমস্যার মধ্যেই রয়েছি। টাকা তুলতেও পারছি না। লিংক সমস্যার কারণে প্রত্যেকদিন পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ ঘুরাচ্ছেন। জিজ্ঞেস করলে পোস্ট অফিস কর্তৃপকে জানান আগামীকাল আসুন।


দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ। বেলদা বিএসএনএল এক্সচেঞ্জের আধিকারিক বিজ্ঞানরঞ্জন মাইতি বলেন, গত শুক্রবার থেকে বন্ধ। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আছে, শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে।


দাঁতনে বিএসএনএল অফিস এক সপ্তাহ বেশি সময় ধরে তালা বন্ধ। কবে তালা খুলে বিএসএনএল পরিষেবা স্বাভাবিক হয় সেদিকেই তাকিয়ে সাধারণ মানুষ।