সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur News): বার বার সতর্কতা সত্ত্বেও পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) বেড়েই চলেছে। চন্দ্রকোনায় (Chandrakona) এ বার মোটর সাইকেল সমেত প্রাক্তন সেনাকর্মীকে (Indian Army) চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের গাড়ির (Police Car) বিরুদ্ধেই। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা জড়ো হলেও, আহত ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা না করেই পুলিশের গাড়ি ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় রাজ্য সড়কে।


বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কে, ভৈরবপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দ্রুত গতিতে চন্দ্রকোনা থেকে ঘাটালের দিকে যাচ্ছিল পুলিশের গাড়িটি। দ্রুত গতিতে এসে গাড়িটি ধাক্কা মারে ষাট ছুঁইছুঁই এক ব্যক্তির মোটর সাইকেলে। তাতে মোটর সাইকেল নিয়ে পড়ে যান বাবলু। আচমকা এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। তড়িঘড়ি ওই প্রৌঢ়কে তুলতে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। কথা বলে জানা যায়, তাঁর নাম বাবলু ভূঞ্জা। খেজুরডাঙার বাসিন্দা তিনি।


কিন্তু এর পরেই তুমুল ঝামেলা বেঁধে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, আহতকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে, গাড়িটি কোন দিকে, কী ভাবে এসে ধাক্কা মারল, তা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে ওঠে ভিড়। অথচ প্রৌঢ়কে ধাক্কা মেরে তত ক্ষণে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে পুলিশের গাড়ি।


আরও পড়ুন: Purba Bardhaman News: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্র্যাক্টরে ধাক্কা বাইকের, মঙ্গলকোটে গতির বলি ৩


সেই পরিস্থিতি ক্রমশ তেতে ওঠে। তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। তাতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পড়ে পুলিশই এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এর পর স্থানীয়দের উদ্যোগেই শেষমেশ প্রৌঢ়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।


গোটা ঘটনায় পুলিশের গাড়ির দিকেই আঙুল তুলছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ অমানবিক আচরণ করেছে। ধাক্কা মেরে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। আহত ব্যক্তি চিকিৎসা পেলেন কি না, তা-ও দেখার গরজ দেখায়নি।


যদিও দুর্ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে চন্দ্রকোনা পুলিশ। তাদের দাবি, চন্দ্রকোনা থানার পুলিশের গাড়ি এই ঘটনা ঘটায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা। আহত প্রৌঢ়কে টিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।