সৌমেন চক্রবর্তী, কেশিয়াড়ি : চার বছরেও গঠিত হয়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) কেশিয়াড়ি (Keshyari) পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ণাঙ্গ বোর্ড। তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বিজেপির বক্তব্য, এর ফলে প্রাপ্য ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।


২০১৮-র মে থেকে ২০২২-এর জুন, ৪ বছর পার। আরও একটা পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) সামনে চলে এল। অথচ এখনও অবধি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন করা গেল না। বিজেপির অভিযোগ, এর ফলে, প্রতি মাসে প্রাপ্য সাড়ে ৩ হাজার টাকা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।


আরও পড়ুন ; সাড়া দেয়নি তৃণমূল, এবার AAP-এ যোগ দিতে চান লক্ষ্মণ শেঠ


কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সংখ্যা ২৫। বিজেপির দাবি, প্রতি সদস্যের গত ৪৮ মাসে ভাতা বাবদ বকেয়া ১ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। তা নিয়েই গেরুয়া শিবির ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে। কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্য সন্দীপ পাল বলেন, আমাদের ডিউ আছে দেড় লক্ষ টাকা মতো, কেন সেটা ডিউ থাকবে ?


একনজরে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি-


গত পঞ্চায়েত ভোটে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ২৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয় ১৩টিতে। তৃণমূলের দখলে যায় ১২টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও ৪ বারের চেষ্টাতেও বোর্ড গড়তে পারেনি বিজেপি। এই নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক চাপানউতোর চলে। পরে বিজেপির ৯ জন জয়ী সদস্য যোগ দেন তৃণমূলে। এখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৃণমূলের পক্ষে। তা সত্বেও বোর্ড গঠন না করা এবং যাবতীয় জটিলতার জন্য, তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্য রঞ্জিত মুর্মু বলেন, রাজ্য সরকার অজুহাত দেখিয়ে হাইকোর্টের কথা বলে বোর্ড গড়েনি। আমরা তাই হাইকোর্টে যাব, ভাতা দেওয়া হোক।


কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে ভাতা বন্ধের দায় নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অজিত মাইতি বলেন, ওরাই হাইকোর্টে মামলা করে রেখেছে। বোর্ড হয়নি ওদের জন্য, তাই জন্য ভাতা পাচ্ছে না।


গত পঞ্চায়েত ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করতে পারেনি বিজেপি। এই নিয়ে আগেও তারা হাইকোর্টে গিয়েছিল। কিন্তু ৪ বছর পরও জট কাটেনি। এবার ভাতা বিতর্কে ফের হাইকোর্টে যাওয়ার তোড়জোড় করছে বিজেপি।