অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে ভ্যাকসিন সেন্টারে গেলেন দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার হাল হকিকত জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ বলে জানান। সাতসকালে মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় মর্ণিং ওয়াকে বেরিয়ে কেরানীতলার কোভিড ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে পরিদর্শনে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। নিত্যদিন কত ভ্যাকসিন দেওয়া হয় সে বিষয়ে প্রথমেই স্বাস্থ্য কর্মীদের থেকে খোঁজ নেন তিনি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। এদিন মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলায় একটি ভ্যাকসিন সেন্টার পরিদর্শনে যান দিলীপ ঘোষ। কথা বলেন স্বাস্থ্য কর্মী ও লাইনে অপেক্ষারত ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের সঙ্গে। রাজ্য বিজেপির সভাপতির দাবি, ভ্যাকসিন মানুষের জীবনের প্রশ্ন। এক্ষেত্রে সরকারকে আরও সজাগ হতে হবে। যাতে মানুষের মনে ভীতি দুর হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।
নিজের কেন্দ্রে সাধারণ মানুষের ভ্যাকসিন পেতে কোন সমস্যা হচ্ছে কি না, সেই সম্পর্কে খোঁজ নিতেই ভ্যাকসিন সেন্টারে আসা, দাবি বিজেপি সাংসদের। তাঁর দাবি ভ্যাকসিন হয়রানি রুখতে রাজ্য সরকারকে আরও সতর্ক হতে হবে। যদিও এ নিয়ে এখনও তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
এর আগেও ভ্যাকসিন প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে দুষেছিলেন দিলীপ। তাঁর অভিযোগ, "ভ্যাকসিন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যে অনিয়ম হচ্ছে, যে ধরনের কালোবাজারি, জাল ভ্যাকসিনকাণ্ড চলছে তা নিয়ে সেখানকার মানুষ খুবই বিব্রত। আমরা এই নিয়ে আন্দোলন করছি। আমাদের কাছে যা তথ্য আছে, তা কো-উইন অ্যাপেওপাওয়া যাবে। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে ৩ কোটি ১৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৯০ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ভ্যাকসিনের কোনও হিসাব নেই। হিসাবমতো, ৩০ লক্ষ ভ্যাকসিন এখনও পড়ে রয়েছে, যা এখনও ব্যবহার হয়নি। সেই ভ্যাকসিন কোথায় আছে, দেওয়া হবে কি না, তা মানুষ জানতে চায়।"
এর আগেও দিলীপ ঘোষ অভিযোগ তুলেছিলেন ভ্যাকসিন নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যে সাড়ে ৩ কোটি ভ্যাকসিন পড়ে আছে। বেসরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন পাওয়া গেলেও, লাইনে দাঁড়িয়ে পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।