কলকাতা: প্রয়াত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। রাত ১১ টা ২৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রখ্যাত সাহিত্যিকের। ১৯৩৬ সালের ২৯ শে জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধদেববাবুর। তাঁর মৃত্যুতে সাহিত্য মহলে শোকের ছায়া নেমেছে। বহু কালজয়ী উপন্যাসের স্রষ্টা তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলি হল  'বাবলি', 'মাধুকরী', 'কোজাগর', 'হলুদ বসন্ত', 'একটু উষ্ণতার জন্য','কুমুদিনী', খেলা যখন, ঋজুদা , জঙ্গলমহল,  চানঘরে গান প্রভৃতি । হলুদ বসন্ত উপন্যাসের জন্য ১৯৭৬ সালে পান আনন্দ পুরস্কার।


গত এপ্রিল মাসেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আশঙ্কা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিলেন বাড়িতে। রবিবার আর শেষরক্ষা হল না। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। রাত ১১.২৫ নাগাদ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধদেব গুহ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল সাহিত্যিকের। এছাড়াও মাল্টি অর্গান ফেলিওরও গ্রাস করেছিল তাঁকে। মূত্রথলীতেও দেখা দিয়েছিল সংক্রমণ।


১৯৩৬ সালের ২৯শে জুন কলকাতায় জন্ম বুদ্ধদেব গুহর। পড়াশোনা করেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। পেশায় ছিলেন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। বহু কালজয়ী উপন্যাসের স্রষ্টা। পশ্চিমবঙ্গের আয়কর বিভাগের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, আকাশবাণী কলকাতার অডিশন বোর্ডের সদস্যের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ  ‘জঙ্গলমহল’।


করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে নানা সময় মৃত্যু গুজব রটেছিল তাঁর। যদিও প্রায় ৩৩ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে করোনা মুক্ত হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন 'এখনই ফুরব না'। চলতি বছরের এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অশীতিপর এই সাহিত্যিক। সেই সময় শহরের একটি হোটেলে নিভৃতবাসে থাকার পর, তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। ৩৩ দিন লড়াইয়ের পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন বুদ্ধদেব। তবে এ বার আর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা হল না তাঁর।