সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: তৃণমূল পরিচালিত ঘাটাল পুরসভার (Ghatal Municipal Corporation) বিরুদ্ধে জলকর (Drinking Water Tax) নেওয়া-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা (Ghatal News)। পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। বেআইনিভাবে জলকর নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। জলকর নয়, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টাকা নেওয়া হয়, প্রতিক্রিয়া পুর চেয়ারম্যানের (Paschim Medinipur News)।


অভিযোগ, পানীয় জল সরবরাহের জন্য মাসে বাড়ি পিছু ৫০ টাকা কর আদায় করছে পুরসভা


অভিযোগ, পানীয় জল সরবরাহের জন্য মাসে বাড়ি পিছু ৫০ টাকা কর আদায় করছে পুরসভা। পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল পরিচালিত ঘাটাল পুরসভার বিরুদ্ধে জলকর আদায়-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পথে নামল বিজেপি। পোস্টারে ছয়লাপ করে দেওয়া হল এলাকা।


ঘাটাল পৌরসভার অন্তর্গত ২ নম্বর ওয়ার্ড স্থানীয় বাসিন্দা সুরেন্দ্র সাতিক বলেন, "লাইন টানছে জল নিচ্ছে ফ্রি-তে অনেক জায়গায় শুনেছি...৬ মাস ছাড়া না হলে বছরে টাকা দিতে হচ্ছে...৫০ টাকা করে।"


আরও পড়ুন: Swami Vivekananda Birth Anniversary: ‘এই নরেনই সেই নরেন’, বিবেকানন্দের জন্মদিনে মোদি-বন্দনায় মগ্ন রইলেন বিজেপি নেতৃত্ব

সম্প্রতি শিলাবতী নদীর পাড়ে রাস্তা তৈরির কাজে নেমেছে পুরসভা। জলকর আদায়ের অভিযোগের পাশাপাশি, রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগেও সরব হয়েছে বিজেপি।


ঘাটালের বিজেপি নেত্রী কবিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, "মাননীয়া জলকরে ছাড় দিয়েছেন...অন্য পুরসভাতেও জলকর নেওয়া হচ্ছে না...রাস্তা তৈরিতেও গাফিলতি...এলাকার মানুষ জানতে চায় কাজটা কেমন হবে।"


জলকর নেওয়ার অভিযোগ যদিও উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা

জলকর নেওয়ার অভিযোগ যদিও উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা তুহিনকান্তি বেরা বলেন, "জলের কর নিই না...যে জলটা দিই তার মেনটেন্যান্সের জন্য মাসে ৫০ টাকা নিই...কোনও কর বলে উল্লেখ করা নেই...জলটা ফ্রি অফ কস্টে দিই।"


ঘাটাল পুরসভা এলাকার তৃণমূল নেতা উদয়শঙ্কর সিংহ রায় বলেন, "পরিষেবা হিসেবে ৫০ টাকা করে জলের করে নেওয়া হয়। পুরসভায় যে রাস্তার কাজের দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে বিজেপি, যদি প্রমাণ করে দিতে পারে, তাহলে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পদত্যাগ করবেন।"  বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে বলেও গেরুয়া শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। পুরসভা এবং তৃণমূল নেতৃত্ব অস্বীকার করলেও, জলকর আদায়ের অভিযোগ ঘিরে ঘাটাল শহরে তুঙ্গে উঠেছে তরজা।