সোমনাথ দাস, অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে কথা বলায় অপবাদ, সালিশি সভা (Khap Panchayat) বসিয়ে অপমানের অভিযোগ। অভিমানে আত্মঘাতী ছাত্রী (Suicide)। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার মৃত ছাত্রীর কাকিমা। তৃণমূলের (TMC) দলীয় কার্যালয়ে সালিশি সভা বসানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। 


সালিশি সভা ডেকে ছাত্রীকে হেনস্থা!


পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত ছাত্রীর বাবা-মায়ের অভিযোগ, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে কথা বলায় মেয়েটির কাকিমাই অপবাদ দেন। তাতে সাড়া পড়ে যায় এলাকায়। সালিশি সভা বসিয়ে তাঁদের মেয়েকে অপদস্থ করা হয়। তার জেরেই আত্মঘাতী হয় সে। 


মেয়েটির মা সংবাদমাধ্যমে বলেন, "কাকিমা অপবাদ দিয়েছিল। তার সঙ্গে হাতাহাতিও হয়েছিল। তারপর পার্টি অফিসের মিটিংয়ে ডাকে। সেখানে এক তরফা বিচার হয়। আমার মেয়ে যেহেতু ছোট, তাই তাকেই ক্ষমা চাইতে বলে। কিন্তু মেয়ে বলে, 'আমার মাকেও তো অপমান করেছে। তাহলে উনি ক্ষমা চাইবেন না কেন? আমার নামে অপবাদ দিল তার কী হবে?' মেয়ে জানিয়ে দেয়, তার কিছু হলে সকলে দায়ী থাকবে।" মেয়েটির বাবার বক্তব্য, "পার্টি অফিসে ডেকেছিল। অপমান করেছে। সহ্য করতে না পেরে মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।"


আরও পড়ুন: North Dinajpur: জাতীয় সড়কে লরিকে তাড়া, তল্লাশি করতেই বেরোল বেআইনি সেগুন কাঠ


শাসকদলের কার্যালয়ে সালিশি সভা বসানো হয় বলে অভিযোগ। আর তাকে ঘিরেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা তন্ময় দাস বলেন, "এটা আত্মহত্যায় প্ররোচনা নয়। খুন বলে মনে করছি। শুধু কাকিমাকে গ্রেফতার করলে হবে না। যারা  এই সালিশি সভা ডেকেছিল, তাদেরও গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।"


ছাত্রীর আত্মহত্যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা


যা ঘটেছে, তাঁদের অগোচরে ঘটেছে, যে বা যাঁরা এই ঘটিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে পাল্টা জানান শাসকদলের নেতা অজিত মাইতি। তাঁর কথায়, "তৃণমূল সালিশি সভা সমর্থন করে না। পঞ্চায়েতকে বললেই সমস্যা মিটে যেত। যারা যারা করেছে, পুলিশ-প্রশাসনকে বলেছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।"