অলোক সাঁতরা, মেদিনীপুর: ছুটির দুপুরে খোদ আদালতে পাওয়া গেল বিষধর সাপ! রবিবার দুপুরে মেদিনীপুর আদালত চত্বরের মালখানা থেকে পাওয়া গেল বিষধর গোখরো। হঠাৎই সাপটিকে দেখতে পেয়ে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন আদালতে থাকা কর্মীরা। খবর পেয়ে স্থানীয় সর্পবন্ধু এসে উদ্ধার করেন পূর্ণবয়স্ক বিষধরটিকে।


মেদিনীপুর আদালতের শেষপ্রান্তে রয়েছে পুরনো মালখানা ও কয়েদিদের জন্য লকআপ। পুরনো এই মালখানায় বাজেয়াপ্ত করে রাখা জিনিসপত্রের ভিড়ে বিষধর গোখরা লুকিয়ে ছিল। রবিবার হওয়ায় মেদিনীপুর আদালত বন্ধ ছিল। ফলে এমনিতেই ভিড় কম ছিল। তা সত্ত্বেও দায়িত্বে থাকা কর্মীরা সেখানে কাজ করছিলেন। তাঁরা হঠাৎই দেখতে পান, মালখানার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে পূর্ণবয়স্ক গোখরো সাপটি। সেটা দেখে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন সেখানকার দায়িত্বে থাকা পুলিশ এবং অন্যান্য কর্মীরা। সাপটিও সঙ্গে সঙ্গে ফের মালখানার ভিতর ঢুকে যায়।


এরপর খবর দেওয়া হয় মেদিনীপুরের সর্প উদ্ধারকারী সর্পবন্ধু দেবরাজ চক্রবর্তীকে। তিনি এসে পূর্ণবয়স্ক ওই স্পেক্টেকলড কোবরা সাপটিকে উদ্ধার করেন।


সর্পবন্ধু দেবরাজ চক্রবর্তী জানান, ‘পূর্ণবয়স্ক প্রচন্ড বিষধর গোখরা সাপটি মেদিনীপুর আদালতের মালখানার ভিতরে ছিল। পুরনো মালখানার ভেতরে বাসা বেঁধেছিল সেটি। সাপটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাপটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে।‘


কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় উদ্ধার হয় ১৩ ফুট লম্বা একটি কিং কোবরা। সকালবেলা স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে ওই সাপটিকে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ওই এলাকায় পৌঁছন খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। উদ্ধার করা হয় সাপটিকে। এরপর কিং কোবরাটিকে গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।


এর আগে জলপাইগুড়ি থেকেই উদ্ধার হয় আরও একটি বিষধর সাপ। ময়নাগুড়ি থেকে উদ্ধার হয় কিং কোবরা। ময়নাগুড়ির চড়াইমোহন গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১২ ফুটের কিং কোবরাটিকে। সাপটিকে পাওয়া যায় একটি চা বাগান থেকে। বন দফতরের কর্মীরা এসে প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় উদ্ধার করেন সাপটিকে।