বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: শুধু নামেই নয়, কর্মক্ষেত্রে 'ওজনদার' হিসেবেই পরিচিত ছিল। দীর্ঘ একদশক কাজের প্রতি নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছে। এ বার অবসর গ্রহণ করল রেল পুলিশের (Indian Railways) ডগ স্কোয়াডের তারকা সদস্য (Rail Police) 'ব্রুটাস' (Brutus)। এতদিনের, এত স্মৃতি তাকে ঘিরে। শেষবেলায় তাই ব্রুটাসকে দেওয়া হল সম্বর্ধনাও। 


দীর্ঘ একদশক কাজের প্রতি নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছে ব্রুটাস


রেল পুলিশের ডগ স্কোয়াডের তারকা সদস্য ব্রুটাস। দীর্ঘ ১১ বছর ছয় মাসের কর্মজীবন তার। এতদিন নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার পর, অবসর গ্রহণ করল সে। সোমবার তাকে সম্বর্ধনা দিয়ে বিদায় জানানো হল। তার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। গলায় মালা পরিয়ে অভিবাদনও জানানো হয় সকলের প্রিয় ব্রুটাসকে। 


ব্রুটাসের অবসরের জন্য সোমবার রাতে খড়্গপুর (Kharagpur News) শহরে রেলের তরফে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রেলের বিভিন্ন আধিকারিক এবং ডগ স্কোয়াডের প্রশিক্ষকও। সকলে মিলে ব্রুটাসকে সম্বর্ধনা দেন। অবসর জীবনে জন্য জানানো হয় শুভেচ্ছাও। রেলের ডগ স্কোয়াডের অফিসেই অনুষ্ঠিত হল এই অবসর অনুষ্ঠান (Paschim Medinipur)। 


আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty: 'মহাগুরু' এলেন কলকাতায় ! পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গেরুয়া শিবিরের তুরুপের তাস?


কর্মজীবনের সমাপ্তিতে মানব সমাজে সম্বর্ধনা, অনুষ্ঠানের চল রয়েছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু সারমেয়কে এ ভাবে সম্বর্ধনা দেওয়া আগে দেখেনি খড়্গপুর। তাই এলাকায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে মুখে মুখে। রেলের তরফে যদিও জানানো হয়েছে, ব্রুটাস প্রথম হলেও, শেষ নয়। আগামী দিনেও ডগ স্কোয়াডের সদস্যদের এ ভাবেই সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। 


আগামী দিনেও এমন সম্মান অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে বলে আশ্বাস


এই অনুষ্ঠানে ভাল সাড়াও মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। রেলের আধিকারিকদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিওরিটি কমিশনার সিএন তিওয়ারি সোমবার রাতে ব্রুটাসকে অবসরকালীন সম্বর্ধনা দেন। ব্রুটাসকে একটি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অবসর জীবনে তারাই দেখভাল করবে ব্রুটাসের। 


এর আগে, অক্টোবর মাসে খবরে উঠে আসে সেনা সারমেয় 'জুম'। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) অনন্তনাগে সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে যায় ‘জুম’। সেখানেই জঙ্গিদের ছোড়া দু'টি গুলি এসে লাগে তার গায়ে। তার পরেও জঙ্গিদের কামড়ে ধরে লড়াই চালিয়ে যায় সে। এর পর পশু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালেই মৃত্য়ু হয় ‘জুম’-এর। 


গুলিবিদ্ধ হয়েও ‘জুম’ লড়াই চালিয়ে যায় বলে জানা যায়। সেনা সূত্রে জানানো হয়, গুলি লাগার পরও জঙ্গিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ‘জুম’। জঙ্গিদের সঙ্গে চলে টানাহ্যাঁচড়া। তাতে সুবিধাই হয় সেনার। গুলি ছুড়ে দুই জঙ্গিকে ধরাশায়ী করে সেনা।