সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: ডাইনি অপবাদে (Witch Hunt) মারধর করে আদিবাসী দম্পতিকে গ্রামছাড়া করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur News) নারায়ণগড়ের (Narayangarh News) ঘটনা সামনে আসতেই শাসকদলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা।


ডাইনি অপবাদে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ দম্পতিকে


একুশ শতকেও আঁকড়ে রয়েছে সেই কুসংস্কারের বেড়ি। আবারও ডাইনি অপবাদে এক আদিবাসী দম্পতিকে মারধর ও ঘরছাড়া করার অভিযোগ। থানায় ঢুকে আক্রান্ত দম্পতিকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠল অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের, শিতলি গ্রামের বাসিন্দা, ওই আদিবাসী দম্পতির দাবি, এক বছর আগে ডাইনি অপবাদে তাঁদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার এলাকায় ফিরলে আবারও মারধর করা হয়। 


আরও পড়ুন: Murshidabad : 'পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি', মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েতের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা নিয়ে সরব বিরোধীরা


স্থানীয় তৃণমূল নেতা লক্ষ্মী শিটের লোকজন মারধর করে তাঁদের ঘরছাড়া করে বলে অভিযোগ।  অভিযোগ জানাতে গেলে লক্ষ্মী শিট, থানায় ঢুকে পুলিশের সামনেই তাঁদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওই দম্পতির।


যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা লক্ষ্মী শিটের দাবি, তিনি এই ঘটনায় জড়িত নন। তিনি ঘটনাস্থলেও যাননি। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য, বিজেপি এই অভিযোগ তুলেছে।


অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার


এ নিয়ে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে আক্রান্ত দম্পতি। বুধবার ওই দম্পতিকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ। তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু, সামগ্রিকভাবে, সমাজের সর্বস্তরে সচেতনতার আলো না পৌঁছলে, কুসংস্কারর এই অন্ধকারকে কি পুরোপুরি মুছে ফেলা সম্ভব হবে? এধরনের ঘটনা কি আটকানো যাবে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।


টিউমারের চিকিৎসা করাতে এসে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বাংলাদেশের মহিলার


অন্য দিকে,  কলকাতায় ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বাংলাদেশি মহিলার। মৃতের নাম শিপ্রা দাস। মস্তিস্কে টিউমারের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। তিন দিন আগে ঢাকুরিয়া আমরিতে জ্বর নিয়ে ভর্তি করা হয় শিপ্রাকে। আজ সকালে মৃত্যু হয় বাংলাদেশের এই নাগরিকের। 


আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, সঙ্গে অপরিকল্পিত নগরায়ন, এই কারণে বছরের শেষেও ডেঙ্গির দাপট কমছে না। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেই সঙ্গে তাঁদের পরামর্শ, জ্বর হলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।