অমিত জানা, কেশিয়াড়ি : কেশিয়াড়িতে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে উত্তেজনা । বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের। অগ্নিমিত্রা পালকে অবরোধ কর্মসূচি থেকে উঠিয়ে দিল পুলিশ। এর আগে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । আগামী ৭ দিনের মধ্যে পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার না করলে, বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির।


কী ঘটনা ?


কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড মিটিং ছিল। সেই বোর্ড মিটিংকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বেশ কয়েকদিন আগে। পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী বিজেপির মৌমিতা সিংহকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির ছিল তৃণমূলের দিকে। সেই সময় হেনস্থার প্রতিবাদ করা হয়েছিল । তৃণমূলের কোনও নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিডিও অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে। সিসি টিভির ফুটেজ দেখানোর দাবি জানায় বিজেপি। মৌমিতা সিংহকে অসুস্থ অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাজপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। 


আজ অগ্নিমিত্রা পাল হঠাৎই আসেন কেশিয়াড়ি বাজারে। সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। বিজেপি নেত্রীকে হেনস্থার ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন। যতক্ষণ না বিজেপি কর্মীদের ওপর যারা আক্রমণ চালিয়েছিল তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে ততক্ষণ বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। সেইমতো আজ অবস্থান ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ এসে সেই অবস্থান বিক্ষোভ উঠিয়ে দেয়। সেই একপ্রস্থ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ।   


ডেবরায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যু-


ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এদিকে ডেবরার বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে সিসি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (HC On Debra BJP Murder Case)। ডেবরা থানার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টের। নিম্ন আদালতে পেশ করা রিপোর্ট হাইকোর্টে দিতে হবে, নির্দেশ আদালতের। জেলের সিসিটিভি ফুটেজও সংরক্ষণ করার নির্দেশ আদালতের।    


পুলিশি হেফাজতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিচার বিভাগীয় বা CBI তদন্ত দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু পোস্টে লেখেন, গত ৪ জুন তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষের ঘটনায় ডেবরার বাসিন্দা সঞ্জয় বেরাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সঞ্জয়কে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ১১ জুন কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে আনা হয় সঞ্জয়কে। এরপর ভর্তি করা হয় SSKM হাসপাতালে। ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। শুভেন্দুর অভিযোগ, পড়ে গিয়ে ওই ব্যক্তি মাথায় চোট পান বলে পুলিশ যে দাবি করছে তা অজুহাত মাত্র। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।