বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: কংসাবতী নদীতে আচমকা হড়পা বানের জেরে ভাঙল অস্থায়ী বাঁধ। যাতায়াতের প্রবল অসুবিধার সম্মুখীন স্থানীয় বাসিন্দারা। নদীর উপরে থাকা অস্থায়ী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।


জলের তোড়ে ভাঙল বাঁধ-


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur) থেকে জল ছাড়ার পর আচমকাই ডেবরার সত্যপুর অঞ্চলের ট্যাবগেড়িয়া এলাকার কংসাবতীর নদীর উপরে থাকা অস্থায়ী বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এর ফলে সত্যপুর অঞ্চলের ওপারে থাকা ভবানীপুর অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আজ সকাল থেকে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীসহ নিত্যযাত্রীরা। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু মানুষ। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই নিত্যযাত্রীরদের জন্য দুটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটমাস্থলে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা রয়েছেন।


আরও পড়ুন - Ghatal Court: বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় রায় দেওয়া বিচারপতিকে ইট মারতে উদ্যত যুবক, হুলুস্থুল কাণ্ড ঘাটাল আদালতে


মাধব মাঝি নামে এক নিত্যযাত্রী জানাচ্ছেন, ব্রিজ তৈরি না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার মানুষ অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। অসুবিধার মধ্যেই রোজ যাতায়াত করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে ব্রিজ হবে বলে। কিন্তু ব্রিজ আর তৈরি হচ্ছে না। এর আগে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ট্যাবগেড়িয়া এলাকায় ব্রিজ নিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, আজ সকাল থেকেই হঠাৎ করেনদীতে জল বাড়তে শুরু করে। তার জেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যাত্রীরা। নিত্যযাত্রী লীনা পাত্র শাহু বলেন, 'সকাল থেকে যাতায়াত চলছিল। হঠাৎ করে জল বাড়তে শুরু করায় অসুবিধার পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছি। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বসে আছি। রোদে গরমে সকলের খুব সমস্যা হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর নৌকা পারাপার শুরু হয়েছে।'


ট্যাবগেড়িয়ার পঞ্চায়েত সদস্য সমা দাস বলেন, 'আজ সকালে হঠাৎ করে হড়পা বানের মতো জল আসে নদীতে। জনসাধারণ যে বাঁধের উপর দিয়ে পারাপার করে, সেই বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ব্লকের পক্ষ থেকে দু-তিনদিন আগে আমাদের কাছে খবর এসেছিল যে জল বাড়বে বলে। বাঁধ ভাঙার জন্য মানুষের সমস্যা হচ্ছে। আমি সকাল থেকেই ওখানে ছিলাম। নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'