বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর : খড়গপুরে ভরদুপুরে শ্যুটআউট। গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূলকর্মী । খড়গপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসের (TMC Party Office) কাছেই চলল গুলি। তৃণমূলকর্মীর দাবি, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ হামলা চালানো হয়। বাইকে চেপে এসে মুখ ঢাকা দুই দুষ্কৃতী হামলা চালায়। ৪-৫ রাউন্ড গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় তারা। হঠাৎ কেন তৃণমূলকর্মীর উপরে হামলা ? এনিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দুপুর ৩টে নাগাদ হঠাৎ তৃণমূলকর্মীর উপরে হামলা হয়। TMC Worker Shot at Kharagpur


কী ঘটনা ?


খড়গপুর শহরে এই প্রথমবার নয়, একাধিকবার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। আজ ফের গুলি চলেছে। এবার ঘটনাস্থল খড়গপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এাকায়। এক তৃণমূলকর্মী পার্টি অফিসের বাইরে দলেরই কর্মীদের সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন। সেই সময় একটি বাইকে চড়ে এসে তিনজন চার-পাঁচটি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তার মধ্যে একটি গুলি লেগেছে বলে দাবি জখম তৃণমূলকর্মীরা।


ঘটনার পর অন্যান্য তৃণমূলকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।


চলতি মাসেই গোড়ার দিকে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার গজনীপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ যায় এক তৃণমূল কর্মীর। গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মী সনাতন ঘোষ দুধের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত বারোটা নাগাদ তিনি ও আরও দুই দুগ্ধ ব্যবসায়ী গজনীপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন মোটর বাইকে চড়ে। অভিযোগ, গজনীপুর ও শ্রীপুরের মধ্যবর্তী মাঠ এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের মোটর বাইক দাঁড় করিয়ে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে।


সনাতন ঘোষের দেহে একাধিক গুলি লাগে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। গুলির আওয়াজ ও চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা কাছে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তি । সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিহারপাড়া থানার পুলিশ। আশঙ্কা জনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় তৃণমূল সমর্থকদের অভিযোগ বিজেপির দিকেই। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।