অলোক সাঁতরা, শালবনি, পশ্চিম মেদিনীপুর: আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত চেয়ে নোটিস (Notice) চাইল ব্লক প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) শালবনি ব্লকের ঘটনা। ওই ব্লকের ১০ নম্বর কর্ণঝড়ের ভাদুতলায় একাধিক বাসিন্দার কাছ থেকে ফেরত চাওয়া হয়েছে সরকারি ক্ষতিপূরণ।
নোটিশে কী নির্দেশ?
আমফানে ওই এবার ৫ জন বাসিন্দার বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় দেওয়া হয়েছিল সরকারি ক্ষতিপূরণ। কিন্তু সেইখানেই গন্ডগোল হয়েছে। সরকারি ক্ষতিপূরণ ছিল ৫০০০ টাকার। কিন্তু তার বদলে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা টাকাই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) মারফত দেওয়া হয়। বেশি টাকা দেওয়ায় অতিরিক্ত টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে। অবিলম্বে অতিরিক্ত ৫০০০ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শালবনির বিডিওর তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
বিব্রত ক্ষতিগ্রস্তরা:
আমফানে বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় ওই ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সেই টাকা দিয়ে ইতিমধ্যেই বাড়িঘর মেরমাত করে নিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তারপর কেটে গিয়েছে ২ বছর। আমফানের (Amphan) এতদিন পর টাকা ফেরত চাওয়ায় বিপাকে ক্ষতিপূরণ পাওয়া বাসিন্দারা।
ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা?
আগে থেকে কেন সবদিক দেখে নেওয়া হয়নি? প্রশ্ন বাসিন্দাদের। এতদিন বাদে হঠাৎ করে টাকা ফেরত চাইলে কীভাবে দেওয়া হবে? প্রশ্ন ক্ষতিগ্রস্তদের। গোটা ঘটনায় অসন্তোষ গ্রামের বাকি বাসিন্দাদের মধ্যেও। কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
এর আগে আমফানের ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ঠিক জায়গায় ক্ষতিপূরণ যায়নি। ত্রাণ লোপাটের অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এই অভিযোগে, মামলা গড়িয়েছিল হাইকোর্ট পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড়ের ত্রাণ বিলির দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করবে ক্যাগ। রাজ্যসরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্ত চললেও ত্রাণ বিলি বন্ধ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। ২০২০ সালের ২০ মে ঘূ্র্ণিঝড়়ের তাণ্ডবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলা। চারিদিকে ত্রাণের জন্য হাহাকার। সেই ত্রাণ বিলি নিয়ে স্বজনপোষণ দুর্নীতির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।