সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। ফেসবুকের ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্ক পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁচখুরিতে। সরকারি দফতরগুলি তৃণমূলের পার্টি অফিসের জন্য লিজে দেওয়া হয়েছে, কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। বিতর্কের মুখে সাফাই দিয়েছে তৃণমূলও। 


ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত অফিসে প্রধানের চেয়ারে বসে রয়েছেন মেদিনীপুর সদরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি মুকুল সামন্ত। তাঁর একপাশে বসে রয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। তাঁদের সামনে টেবিলের উপর রাখা রয়েছে প্রধানের নামের ফলক। পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁচখুরি ১ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসের এই ছবি শুক্রবার পোস্ট করা হয় জেলা সভাপতির নামে তৈরি ফেসবুক পেজ থেকে। আর এই ছবি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। 


তৃণমূল জেলা সভাপতির সেই পোস্ট শেয়ার করে নিশানা করেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত অফিসে দলীয় বৈঠক করছে তৃণমূল। মেদিনীপুর সাংঠনিক জেলা বিজেপি মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক পারিজাত সেনগুপ্ত বলেন, 'সরকারি দফতরগুলি তৃণমূলের পার্টি অফিসের জন্য লিজে দেওয়া হয়েছে।'


কী বলছেন প্রধান:
বিতর্ক শুরু হতেই মুখ খুলেছেন পাঁচখুরি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিতা ফৌজদার। পাঁচখুরি পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, 'ওঁরা সম্মানীয় ব্যক্তি। আমি ওঁদের খুব সম্মান করি। তাই চেয়ার ছেড়েছি।' মুখ খুলেছেন মেদিনীপুর সদরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি মুকুল সামন্তর। তিনি বলেন, 'দলীয় কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম।' প্রধানের চেয়ারে বসার অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের জেলা সভাপতিও। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, 'কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে যেতেই পারেন। প্রধানের চেয়ারে কেউ বসেনি, প্রধানের চেয়ার পাশে রাখা ছিল।'


বামেদের কটাক্ষ:
প্রধান সাফাই দিলেও এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সিপিএমও। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সিপিএম সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, 'এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই এটাই ওদের নীতি আদর্শ।' পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের এই ছবি ভাইরাল হতেই আক্রমণ শানিয়েছে বাকি বিরোধীরা। 


আরও পড়ুন: 'বিজেপির উস্কানিতেই এসব', ফের বিক্ষোভের মুখে পড়ে মন্তব্য 'দিদির দূত' শতাব্দীর


চাকরি নিয়েও বিতর্ক:
তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। জেলা পরিষদে চাকরি দেওয়ার নামে বহু লোকের কাছে টাকা নিয়েছেন অজিত মাইতি।  সব তথ্যই সামনে আসবে। ফের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।   যে চোর, সে সবাইকে চোর ভাবে। জেলা পরিষদের চাকরি কীভাবে হয়, সেটাই জানেন না,  পাল্টা দিলীপকে ঝাঁঝালো আক্রমণ করেছেন অজিত মাইতি।