সৌমেন চক্রবর্তী, মেদিনীপুর : অমিত শাহর (Amit Shah) নিয়ন্ত্রণাধীন সমবায় মন্ত্রকের কাজের প্রশংসা করে এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি। আর সেই চিঠি দিয়েছেন এক তৃণমূল নেতা (TMC Leader) যিনি মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর চিঠি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
চিঠিতে কী লিখেছেন তৃণমূল নেতা ?
একটা চিঠি, তাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম মেদিনীপুরের রাজনীতিতে ফের যুযুধান তৃণমূল আর বিজেপি। কেন্দ্রীয় সমবায়মন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান প্রদীপকুমার পাত্র। চিঠিতে লেখা হয়েছে, অমিত শাহর সমবায়মন্ত্রক যে ভাবে দেশের সব সমবায় ব্যাঙ্ক এবং সমবায় সমিতিগুলির পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটারাইজেশনের লক্ষ্যে বিল পাস করিয়েছে, সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। ওই বিলের ফলে সমবায় সমিতিগুলি শুধু শক্তিশালীই হবে না, তার কাজেও স্বচ্ছতা আসবে। কাজ কম্পিউটারাইজড হলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা আরও ভাল হবে।
আরও পড়ুন ; 'লোকাল থানার ভূমিকা কী ছিল ?' গল্ফগ্রিনকাণ্ডে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু
চিঠির শেষে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে চিহ্নিত করে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। এই চিঠি যিনি লিখেছেন, সেই প্রদীপকুমার পাত্র শুধু বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান নন, তৃণমূলেরও নেতা তিনি। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও সামলেছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে সমবায়ের শীর্ষ পদ থেকে সরানোর পর রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
রাজ্যের সমবায়গুলিতে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই প্রেক্ষাপটে মোদি-শাহর প্রশংসা করে তৃণমূল নেতার চিঠি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
এনিয়ে বিজেপি মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া কনভেনর দেবাশিস ভুঁইঞা বলেন, সারা দেশ, বিশ্ব আজ নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। সেখানে এরা তো চুনোপুঁটি। দেরিতে হলেও এরা যে বুঝতে পেরেছে, এর জন্য অভিনন্দন।
পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, যদি কোথাও কেউ কাউকে ধন্যবাদ জানায়, তার মানে এই নয় যে পুরো বিজেপি সরকারটা ভাল হয়ে গেল। ব্যাপারটা খোঁজ নিয়ে দেখব।
যদিও তৃণমূলনেতা ও সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এর মধ্যে বিতর্কের কিছু দেখছেন না। প্রদীপ পাত্র বলেন, কেন্দ্রীয় সমবায়মন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছি। কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রক তৃণমূল স্তরের সমবায় প্রতিষ্ঠান ও প্রাইমারি এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ সোসাইটি গুলোর ডেভেলপমেন্টের পক্ষে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই মতামত জানিয়েছি।
সাফাই সত্ত্বেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না।