বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট ভাইয়ের নেশার প্রতিবাদ করায়, দাদাকে খুনের অভিযোগ উঠল খড়্গপুর শহরের রবীন্দ্র পল্লি এলাকায়। পরিবারের দাবি, ছোট ভাই সুমিত নেশাসক্ত। বাধা দেওয়ায় দাদার সঙ্গে বচসা লেগেই ছিল। অভিযোগ, গতকাল এক সঙ্গীকে নিয়ে বাড়িতেই নেশার আসর বসান ছোট ভাই। দাদা বাধা দেওয়ার পর, তাঁকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সজোরে বাইক চালিয়ে দেন ওই যুবক।


ইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম দাদাকে প্রথমে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ছোট ভাই-সহ ২ জনকে আটক করেছে খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। 


জুলাইয়ের শেষের দিকে এই একই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।গভীর রাতে পারিবারিক অশান্তির  জেরেই দাদার হাতে খুন হয়েছিলেন ভাই। ঘটনাটি ঘটেছিল রঘুনাথপুর থানার প্রতাপপুর গ্রামে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, মৃতের নাম শ্যামলাল মুর্মু (৩১)। শুক্রবার রাতে দাদা ছোটলাল মুর্মুর সঙ্গে পারিবারিক বচসা বাঁধে। অভিযোগ, সেই সময় দাদা ছোটলালের লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ভাই শ্যামলাল। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।


খবর পেয়ে পুলিশ ছোটলালকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ঘটনার কথা স্বীকার করেছে ছোটলাল। তাঁকে শনিবার রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। মৃতের দেহ এদিনই ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজ  হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।


অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের কার্শিয়ংয়ে ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে কিছুদিন আগেঅ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে খুন করে স্বামী। স্ত্রীর ধড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে খুন করে ওই ব্যক্তি। অম্বর রাই নামে এই নৃশংস খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। বছর পঞ্চাশের অম্বর রাই নৃশংসভাবে খুন করে তার স্ত্রী বিনয় রাইকে। নিহতের বয়স ৪৪ বলে খবর। 


আরও পড়়ুন: Kanksa: পোষা কুকুরের বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রীকে খুন, ধৃত স্বামী


আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে আগুন