সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় সরকারি প্রকল্পে লাগানো গাছ চুরির অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে গাছ চুরির নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। অন্যদিকে অকারণ কুৎসা করাই কাজ বলে, গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা নিশানা করছে রাজ্যের শাসক দল। 


সরকারি প্রকল্পে লাগানো গাছ চুরির অভিযোগ


ক’দিন আগেও যেখানে ছিল গাছের সারি, এখন সেখানে পড়ে রয়েছে শুধু গাছের গোড়া। উধাও হয়ে যাচ্ছে একের পর এক আস্ত গাছ। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা চুপিসাড়ে লোপাট করছে পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোণায় সরকারি প্রকল্পে লাগানো গাছ।


পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার বাসিন্দা বাসরিমোহন মণ্ডল বলছেন, 'পাশের গ্রাম থেকে কিছু লোক এসে গাছ কেটে নিয়ে গিয়ে চলে গেল।'


প্রশাসন সূত্রে খবর, বছর চারেক আগে রাজ্য সরকারের মাটি সৃষ্টি প্রকল্পে চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের ১০ বিঘা জমির ওপর ৩০ হাজার গাছ লাগানো হয়। গত কয়েকদিনে সেখান থেকে প্রায় ৫ হাজার গাছ চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন।


পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ১নং ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, 'কিছুদিন আগে ঝড়ে এখানের কিছু গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সুযোগে কিছু লোক এসে গাছ কেটে নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'


তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা


সরকারি প্রকল্পে লাগানো গাছ চুরির অভিযোগ। এবং এই নিয়ে তুঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল তরজা। 


ঘাটালের বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাসের মন্তব্য, 'তৃণমূলের চুরি করাই সংস্কৃতি। রক্ষকই ভক্ষক।' অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান অজিত মাইতির দাবি, 'এর পিছনে কে আছে দেখব। আমরা জড়িত নেই। বিজেপির কুৎসা করাই কাজ।' 


আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: রাখঢাক আসে না তাঁর, মনের কথাই মুখে, তাই কি 'রাজ্যছাড়া' হতে হল দিলীপকে!


গাছ চুরির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে চন্দ্রকোণা থানা।