অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের (Fire Extinguisher) লোহার পাইপ ফেটে বিপত্তি। জলমগ্ন গোটা ওয়ার্ড। চরম সঙ্কটে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Medinipur Medical College and Hospital) ঘটনা।
হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের লোহার পাইপ ফেটে জলমগ্ন ওয়ার্ড
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা। শুক্রবার সেখানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের লোহার পাইপ ফেটে যায়। তাতেই জলমগ্ন হয়ে যায় ওয়ার্ড। চরম সমস্যায় পড়তে হয় রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের।
এদিন দুপুর ১টার নাগাদ হঠাৎ করেই দেখা যায় সিঁড়ি দিয়ে হুহু করে জল নামছে নিচের দিকে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে জলমগ্ন হয়ে যায় হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া ওয়ার্ড (Thalassemia Ward) ও স্ক্যান সেন্টারে (Scan Centre) যাওয়ার রাস্তা। ওই জলের উপরেই স্ট্রেচারে করে রোগীদের নিয়ে যাওয়ার চিত্রও ধরা পড়ে। থ্যালাসেমিয়া ওয়ার্ড সম্পূর্ণ জলে থৈ থৈ হয়ে যায়। রোগীর আত্মীয়দের বেডের ওপরে পা তুলে বসে থাকতে হয় বেশ কিছুক্ষণ।
হাসপাতালের ফেসিলেটি ম্যানেজার (facility manager) সঞ্জীব কুমার গোস্বামীর দাবি, তাঁদের না জানিয়ে দমকল বিভাগের পক্ষ থেকে পাইপ টেস্টিং করতে এসেছিল। আর তারপরেই এই বিপত্তি।তাঁর কথায়, 'আমরা পি এইচ ই ও পি ডব্লিউ ডি-কে জানিয়েছি।' দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: Purba Bardhaman: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ, হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার যুবক-যুবতীর মৃতদেহ
কিছুদিন আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক কাজ করছে কি না পরীক্ষা করে দেখতে গিয়ে বিপত্তি হয়। পাইপলাইনে জল ছাড়তেই হুড়মুড় করে জল ঢুকে পড়ে হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার সংঙ্গে যুক্ত পাইপলাইনের একাধিক ভাল্ভ অনেক আগেই চুরি গিয়েছে। কর্তৃপক্ষের তা জানা ছিল না। তাতেই বিপত্তি ঘটে। জল থইথই অবস্থা হয় গোটা হাসপাতালের।
এরপর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ (principal) পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, 'এরকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু যদি তাই হয়ে থাকে আমি পি ডব্লিউ ডি-কে জানাচ্ছি যাতে দ্রুত সমস্যা মিটে যায়।'