কলকাতা: আজ থেকে জোকা(Joka)-তারাতলা (Taratala) মেট্রো রুটে যাত্রী পরিষেবা শুরু হল। প্রথম দিন মেট্রোয় উঠতে উৎসাহীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সোম থেকে শুক্র সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে জোকা-তারাতলা মেট্রো। প্রথম পর্যায়ে সাড়ে ৬ কিলোমিটার যাত্রাপথে রয়েছে ৬টি স্টেশন। জোকা, ঠাকুরপুকুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা। এই রুটে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ টাকা। আপাতত এক লাইনে একটি ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছলে তবেই পরবর্তী ট্রেন ছাড়বে। প্রথম দিন জোকা-তারাতলা মেট্রোতে সওয়ার হলেন পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। 


শিলান্য়াসের ১২ বছরেরও বেশি সময় পর চালু হল জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবা। মা মারা যাওয়ায় কলকাতায় না এসে, গুজরাত থেকেই ভার্চুয়ালি মেট্রো পরিষেবার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিলেন এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর উদ্যোগেই। 


নতুন বছর শুরুর ঠিক মুখে নিউ ইয়ার গিফট পেল বাংলা। চালু হল বহু প্রতীক্ষিত জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবা। কলকাতায় এসে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সঙ্গেই জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবা সূচনা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। 


কিন্তু মা মারা যাওয়ায়, নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফর বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত ভার্চুয়ালি মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্পের শিলান্যাস করেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল। তখন রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে প্রকল্পটি জোকা-ধর্মতলা করা হয়।


পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সূচনালগ্নে সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়।  হাওড়া স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন, তাঁর উদ্যোগেই শুরু হয়েছিল এই মেট্রো প্রকল্প। 


প্রথম পর্যায়ে সাড়ে ৬ কিলোমিটার যাত্রাপথে মেট্রো পরিষেবা চালু হল। জোকা-তারাতলা রুটে রয়েছে ৬টি স্টেশন। জোকা, ঠাকুরপুকুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা। এই রুটে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ টাকা। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক সূচনা হলেও, জোকা-তারাতলা রুটে বাণিজ্যিক ভাবে মেট্রো পরিষেবা শুরু হতে পারে ২ জানুয়ারি থেকে। 


মেট্রোরেল সূত্রে খবর, মাঝেরহাট থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত বাকি অংশের কাজও দ্রুত গতিতে চলছে। খুব শিগগিরই তা চালু হয়ে যাবে।